ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নে বনগজ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত করার মিথ্যা অভিযোগ তুলে মসজিদ কমিটির কাছে হেনস্তা হয়রানিও জিম্বির শিকার বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী ।
অভিযোগকারীরা হলেন :মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি রফিক, পিতা মো:জজ মিয়া।মূল পরিকল্পনাকারী নুরুল ইসলাম, পিতা মো:জিতু মিয়া,আলীম মেম্বার পিতা মোঃ ফিরোজ মিয়া। অভিযোগকারীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা নামে অভিযোগ তুলে উনি ভেকু দিয়ে মাটি কাটার ফলে পাড়ার মসজিদের ফাটল ধরে।
ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান বনগজ গ্রামের পশ্চিম পাড়ার একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা ।তার পিতার নাম মৃত আশরাফ আলী ফকির।
এবিষয় মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান বলেন ২০১৭ সালে আমার নিজস্ব ফসলি জমিতে মাটি কাটতে গেলে মসজিদ কমিটি আমাকে বাধা দেয়,এক বছর গৃহ বন্দি করে রাখে। তৎকালীন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান আমাকে পুলিশি নিরাপত্তা প্রদান করেন।এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্টে সি আর ৬৪/১৭ একটি মামলা করি।ওই মামলায় আমার পক্ষে রায় দেয়।
আমার পরিবারকে এত নির্যাতন করেন যা ভাষা প্রকাশ করার মত না।আমাকে একঘরে করে রাখে।২০১৭ সালে আমার মা মারা যার কিন্তু কেউ জানাজা দিতে আসি না।অবশেষে ২০২০ আমি গ্রাম ত্যাগ করি। আসন্ন মৌসুমী বায়ুর ভারী বর্ষণে ফলে মসজিদের এক পাশ ফাটল ধরলে কমিটি ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করছে।কিছু কিছু হলুদ সংবাদমাধ্যম আমাকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের প্রশাসনের কাছে এর সুবিচার চাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন হাবিবুর রহমানের সাথে কমিটির দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। তারা তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করছে।প্রকৃতপক্ষে মসজিদের পুরোপুরি জায়গার মালিক উনি। উনি জায়গার মালিক শর্তেও নির্যাতনের শিকার।
এই বিষয় মসজিদ কমিটির সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা কথা বলতে আগ্রহ হয়নি।
এবিষয় ধরখার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শাফি বলেন, আমি ঘটনার স্থানটি পরিদর্শন করি এরকম কোনো ঘটনাই ঘটে নাই।তবে মসজিদের জায়গাটি নিয়ে কমিটির সাথে তার বিরুদ্ধে রয়েছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার নির্বাহী কর্মকর্তা গাজলী পারভীন রুহি বলেন, আমি ঘটনার স্থানটি পরিদর্শন করি কিন্তু ভেকু দিয়ে মাটি কাটার অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি।তবে মসজিদের একপাশে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে।
Like this:
Like Loading...