আচেহ উলামা কাউন্সিলের (এমপিইউ) সদস্য মুখলিস বিন মোহাম্মদকে বিবাহিতা নারীর সঙ্গে শারিরিক সম্পর্ক থাকায় প্রকাশ্যে ২৮বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় শরিয়া আইন কার্যকরে প্রধান ভুমিকা রেখেছিলো মুখলিসের সংগঠন এমপিইউ। ইন্দোনেশিয়ার কট্টর রক্ষণশীল আচেহ প্রদেশেই একমাত্র শরীয়া আইন কার্যকর রয়েছে। বিবিসি
শুধু পরকিয়া বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কই নয়, সমকাম আর জুয়ার জন্যও আচেহতে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়। মুখলিসের শহর আচেহ বেসারের ডেপুটি মেয়র হুসাইনি ওয়াহাব বিবিসিকে বলেন, ‘এটি আল্লাহর আইন। দোষী প্রমাণিত হলে সবাইকেই বেতের মার খেতে হবে। সে এমপিইউ সদস্য হলেও রেহাই নেই।’ গত সেপ্টেম্বরে কর্মকর্তাদের কাছে হাতেনাতে ধরা পরে এই জুটি। তারা পর্যটক অধুষ্যিত এক সৈকতের কাছে একটি গাড়িতে যৌনকর্মে লিপ্ত ছিলেন। হুসাইনি জানিয়েছেন মুখলিসকে দল থেকেও বহিস্কার করা হবে। এই সাজাপ্রাপ্ত ৪৬ বছর বয়সী ব্যক্তি একজন ইসলাাম আধ্যাত্মিক নেতাও। ২০০৫ সালে আচেহতে শরীয়া আইন কার্যকর হওয়ার পর তিনি প্রথম ধর্মীয় নেতা যাকে বেত্রাঘাত করা হলো।
এমপিইউ এর সরাসরি ত্বত্তাবধানেই আচেহতে সব ধরণের শরীয়া শস্তি কার্যকর হয়ে থাকে। শরীয়া আইনের আওতায় পরকীয়া, জুয়া খেলা, মদ তৈরী, বিক্রি ও পান করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যৌন সম্পর্কের সময় ধরা পরা এক ব্যক্তিকে ২০১৭ সালে ৮৬বার বেত্রাঘাত করা হয়। বেতগুলো বানানো হয় রাতান গাছ থেকে। সম্পাদনা : ইকবাল খান
Facebook Comments