মজিবর রহমান,গাইবান্ধা প্রতিনিধি : দেশে সরকারি ভাবে জমি ও ঘর পাচ্ছে বহু মানুষ বহু
পরিবার। সারাদেশের ন্যায় গাইবান্ধা জেলায় কয়েক শত পরিবার পাচ্ছে এ সরকারি সুবিধা
ফুলছড়ি উপজেলায় প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার এ সুবিধা পেলেও একেবারে অসহায় পরিবারে
মানুষ গুলো আজও বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন । একটু স্থায়ী আশ্রয়ের ও নিরাপদ নীড়ের আশায়
দীর্ঘদিন হলো দ্বারে দ্বারে ঘুড়েছেন ফুলছড়ি উপজেলা শিমানা প্রাচিরে বসবাস কারী উদাখালি
এলাকায় দক্ষিন বুড়াইল গ্রামের মৃত্যঃ আছিমুদ্দিনের মেয়ে শারিরীক প্রতিবন্ধী আমেনা ফুলছড়ি
উপজেলার শিমানা প্রাচিরের সাথে দুটি টিনের দোকান ঘরে বসবাস করে ৪৫ বছর বয়সি
আমেনা বেগম। উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী স্থানীয় অন্যান্য পেশার মানুষ গুলোর গা গতরে হাত
পায়ে মিনতির সুরে দু চোখের বাধাহীন অশ্রজল ঝরছে। আখি আমার কাছে কতই না আকুতি
মিনতি করছে আমার হৃদয় জুড়ে শহীদের সে তাজা রক্ষণ হচ্ছে। যে রক্তের বিনিময়ে বাঙ্গালী
আজও পাচ্ছে না নিজ অধিকার খাদ্য,বস্ত্র,স্বাস্থ্য ও বাসস্থান। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে
ফুলছড়ি ক্যাম্পাসের সামনে সাংবাদিকদের দেখে হাউ মাউ করে কেদে উঠে করুন
আহাজারিতে সে বলতে থাকে কতজন কে কত বার ভোট দিলুম কেউ মোক এনা সরকারি ভাবে
ঘর বা জমি নিয়ে দিলোনা। সবাই খালি দেখবো দিবে বলে যায় যুগের পর যুগ চলে যায় কিন্তু
কেউ মোক এনা কেউ সরকারি জমি বা ঘর দিলো না। শেখ হাসিনা সরকার বলে গরিব মানুষক
জমি দিচ্ছে ঘর দিচ্ছে মোক এনা কেউ নিয়ে দিলো না। মুই কাকো ত টাকা দিবার পাওনা সেই
কারনে কোন চেয়ারম্যান, মেম্বার মোক এনা জমি আর ঘর দিলোনা। এসময় সে আরো বলেন,
তোমরা বাবা মোক এনা সরকারি জমি ও ঘর নিয়ে দেও। মুই তোমারে জন্য নামাজ পড়ে দোয়া
করিম। এই ঠান্ডার মধ্যে মুই জীবন চলাও মোক এনা তোমরা ঘর নিয়ে দাও বাবা আল্লাহ্
তোমারে ভালো করবি। সে আশায় আছে সরকারি ভাবে এক টুকরো খাস জমি পাবে আর পাবে
সরকারি ভাবে একটি ঘর । কিন্তু ফুলছড়িতে অনেক নেতার দ্বারে দ্বারে ঘুড়েও আজও তার
নামটি অন্তভূক্ত করা হয়নি । এদিকে অসহায় মানুষ গুলোর জন্য সরকারি ভাবে দেওয়া জায়গা
জমি ও ঘর প্রদান প্রকল্পে অন্তভূক্ত করার জন্য উপজেলাএলাকার সচেতন মহলসহ সাধারণ
মানুষ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিকট ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Facebook Comments