জাতীয় সংসদ ভবনে সাবেক রাষ্ট্রপতি, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
জানাজায় উপস্থিত আহমে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ, বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য জি এম সিরাজ, আওয়ামী লীগের স্থায়ী কমিটির সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস, চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী, জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান রওশান এরশাদ, সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
জানাজা শেষে তার স্ত্রী রওশন এরশাদ বলেন, তার ব্যবহারে কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন। কারও কাছে এরশাদের কোনো পাওনা থাকলে তাও জানাতে বলেন তিনি।
এরশাদ কোনো অপরাধ করে থাকলে, কারও মনে আঘাত দিলে তা ক্ষমা করে দিতে অনুরোধ করেন তার ছোটভাই ও দলটির নেতা জিএম কাদের। জানাজা শেষে এরশাদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে।
এদিকে এইচএম এরশাদের মৃত্যুতে ৩ দিনের শোক পালন করছে জাতীয় পার্টি।
আজ বাদ আসর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আরেক দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের। এরপর মরদেহ রাখা হবে সিএমএইচের হিমঘরে। কাল এরশাদের মরদেহ নেয়া হবে তার শহর রংপুরে। সেখানে নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধার পর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গতকাল রোববার সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় তার প্রথম জানাজা। সকালে সিএমএইচে মৃত্যুবরণ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
Facebook Comments