কক্সবাজারের চার উপজেলায় দুই হত্যাকাণ্ড সহ চার জনের অপমৃত্যু ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুর ২ টা থেকে রাত ১২ টার মধ্যে চকরিয়া উপজেলায়, রামু উপজেলায়,সদর উপজেলায় ও টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে পৃথক ঘটনা গুলো ঘটে।
সর্বশেষ রাতে রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বদুপাড়া গ্রামে মাদকাসক্ত এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে আজিম মওলা সাহেদ প্রকাশ ছায়া নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পরিদর্শক মো: সাইফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাহেদের ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে রাত ১১ টার দিকে কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় একটি ঘর থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় ও প্রতিবেশীরা বলছেন তারাবি নামাজের সময়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে ।
নিহতের স্বামী আবু নাছের ওসমানি দাবি করেন তিনি তারাবি নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে ছিলেন। পরে বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ খাটের উপর পড়ে রয়েছে।
এর আগে বিকেল ৪ টার দিকে রামুতে এ সালাম বাসের ধাক্কায় এক অজ্ঞাত মহিলার মৃত্যু হয়। এখনো পর্যন্ত মহিলার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দুপুরে চকরিয়া উপজেলায় ধান ক্ষেতে কাজ করার সময় দুপুর ২ টার দিকে বন্যহাতির আক্রমণে মো. বেলাল উদ্দিন (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে পাহাড় সংলগ্ন নিজের ধান ক্ষেতে আগাছা পরিষ্কার করার সময় হঠাৎ দলছুট একটি বন্যহাতি অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেলাল উদ্দিনকে শুঁড় দিয়ে ধরে পায়ের নিচে পিষ্ট করে। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
দুপুরের দিকে আবারও সপ্তাহ না পেরুতেই ফের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে।
মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফের হোয়াইক্যং কম্বন চিবাচছড়া পাহাড় এলাকা থেকে দুই রাখালকে অপহরণ করেছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হাসান। তিনি বলেন, আমিও শুনেছি তারা গরু চরাতে পাহাড়ে গিয়েছিল সেখানে অপহরণকারীরা তাদের দুইজনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।
অপহৃতরা হলেন-রোজারঘোনা ৯নং ওয়ার্ডের আমির হোসেনের ছেলে অলি আহমদ ও কম্বনিয়া পাড়া পিরোজের ছেলে নুর মোহাম্মদ।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, অপহরণের শিকারে বিষয়ে এখনও খবর পাইনি। বিষয়টি খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার ভোরে হ্নীলার পানখালী এলাকায় পাহাড়ি এলাকা থেকে এই ৫ জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। অপহৃতদের চারদিন পরে পরিবারের কাছে ৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছিলো ঐ অপহরণকারীরা।