দেশে অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসার মূলহোতা সেলিম প্রধানের রাজধানীর গুলশান ও বনানীর বাসায় অভিযান পরিচালনা করছে র্যাব। গতকাল সোমবার রাত থেকে সেলিমের রাজধানীর বনানীর বাড়িটি ঘিরে রাখে র্যাব। মঙ্গলবার দুপুরে ওই বাড়িসহ গুলশানের অপর আরেকটি বাড়িতে অভিযান শুরু করা হয়।
সেলিম প্রধানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চলছে বলে সাংবাদিকদের জানান র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান।
এর আগে সেলিমের বনানীর বাসা থেকে বাসা থেকে ২১ লাখ টাকাসহ বিদেশি মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদ জব্দ করে র্যাব। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় গুলশানে সেলিম প্রধানের বাসায় র্যাব অভিযান শুরু করে।
মঙ্গলবার সেলিমের গুলশানের বাসা থেকে ৭ লাখ, ২৩ টি দেশের মোট ৭৭ লাখ মুদ্রা, বিদেশি মদ, সিগারেট, ৮ কোটি টাকার চেক ও ২ টি হরিণের চামড়া জব্দ করা হয়। এছাড়া কয়েকটি ল্যাপটপ ও কম্পিউটার জব্দ করা হয়।
সোমবার দুপুরে থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩২২ নম্বর ফ্লাইটটি ছাড়ার আগমুহূর্তে সেলিম প্রধানকে আটক করা হয়। র্যাব সূত্রে জানা যায় তিনি বাংলাদেশে অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসায়ের মূলহোতা।
এ ব্যাপারে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, ‘সেলিম অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার সঙ্গে জড়িত। তিনি ক্যাসিনোর অর্জিত আয় বিদেশে পাচার করে আসছিলেন।’
সূত্রের তথ্যমতে, অনলাইনে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে আটক সেলিম প্রধান বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তারেকের বিভিন্ন পার্টিতে তরুণী সরবরাহের কাজ করতেন সেলিম।
আরও জানা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন স্পা ও বিউটি পার্লার যেখানে ভিআইপিদের আসা-যাওয়া রয়েছে সেগুলোতে তরুণী সরবরাহের কাজ করতেন সেলিম। সেই তরুণীরা ভিআইপিদের বিনোদন দেয়ার কাজ করতেন। এছাড়া সিলেট থেকে অবৈধভাবে পাথর নিষ্কাশনের কাজ করতেন সেলিম। ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচারেও সেলিমের ভূমিকা ছিল।
Facebook Comments