করোনার এই সময়ে দেশের মানুষকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। আক্রান্ত হয়েছে কৃষক-কৃষানিরা। এর মধ্যে ও ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালি , উড়িয়া,কন্চিপাড়া ইউনিয়ন সহ সব গ্রামে বিভিন্ন জমিতে এখন শোভা পাচ্ছে আগাম জাতের রোপা আমন ধান। সোনালি ধানের ঘ্রাণে ভরে আছে মাঠ।
সরেজমিনে উদাখালি সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঠজুড়ে সোনালি রোপা আমন ধানের ছড়া। এরই মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। আর কদিন পর পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। কৃষান-কৃষানিদের ও ব্যস্ততা বেড়েছে আর কিছুদিনের মধ্যেই ধান কাটা মাড়াই শেষ হলে ধান গোলায় তুলবেন চাষিরা ।
এদিকে নবান্ন উৎসব পালনের জন্য গ্রাম বাংলায় কৃষকের ঘরে ঘরে উৎসবের প্রস্তুতি চলছে। এ সময় মেয়ে জামাইসহ আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে আমন্ত্রণ করার পাশাপাশি কৃষকের বাড়িতে নতুন চালের পোলাও, গরম গরম ভাঁপা পিঠা, রসেভরা দুধচিতই, দুধপুলি, নোকশি পিঠা, মুঠি পিঠা ও পায়েসসহ রকমারি লোভনীয় খাবারের ধুম পড়ে যায়।
ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালি ইউনিয়নের দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের কৃষক রইচ উদ্দিন সোনার বাংলা ৩৬৫ এর প্রতিনিধি কে জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোপ আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ৩৩ শতাংশ জমিতে ১৮ মণ ধান আমি পেয়েছি। সঠিক ধানের দাম পেলে আমরা কৃষক’রা লাভবান হবো।
হরিপুর গ্রামের কৃষক বাদশা মিয়া বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার রোপ আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। পোকার আক্রমণে কিছুটা ক্ষতি হলেও এত বেশি ফলন হবে সেটা কল্পনাও করতে পারিনি। পাকা ধান কাটতে খুব ভালো লাগছে।
উদাখালি ইউনিয়নের হরিপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মেসকাতুর রহমান বলেন,জমি চাষ দেওয়া থেকে শুরু করে জমিতে সার প্রয়োগ পর্যন্ত কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষক যেন ধানের বেশি ফলন পান।’
ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মিন্টু বলেন,চলতি মৌসুমে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধানের চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবারও ফলন বেশ ভালো। গত বছর কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় এবার বেশি জমিতে ধানের আবাদ করেছেন।
Facebook Comments