শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ২ কি:মি: দূরে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান। এ উদ্যানে ছিল শতশত ঝাউগাছ, কেওড়া ও শাল গাছ। পর্যটকরা এসে ছায়াতলে বসে সমুদ্রের গর্জন শোনা আর নির্মল বাতাসে বসে সমুদ্র উপভোগ করত। সেই জাতীয় উদ্যান সমুদ্রের মাঝে বিলিন হয়ে গেছে। গাছগুলো এবড়ো-থেবড়ো পড়ে আছে। নিরবে কান্না করছে মনে হয়। যে দেখতে যায় তার চোখ ছলছল করে জলে। প্রিয়জন হারানোর মতই দু:খ ঘিরে ধরে। জাতীয় উদ্যান থেকে শুরু করে গঙ্গামতি পর্যন্ত সারিসারি গাছ সৈকতে পড়ে আছে। যে কারোই বুক কেঁপে উঠবে এমন দৃশ্য দেখে। দূর্যোগ আর বিপাকে বরাবরই উপকূলের ঢাল হিসেবে ছিল এসব বনজঙ্গলের নানা গাছ-গাছালি। যা পূর্বের যে কোন ঝড়-ঝাপটায় প্রমান দিয়ে চলছে। সিডর, আইলা, ফনি, নার্গিস, মহাসেন, ফণি, বুলবুল, আম্পান, মখা, বুলবুল ও এবারের ঘূর্ণিঝড় রিমাল। সবসময় ঘূর্ণিঝড়ে মাথা উচু করে নিজের ক্ষতি করে বাঁচিয়েছে উপকূলকে।
পরিবেশ সংগঠন বেলার কলাপাড়া উপজেলার নেটওয়ার্ক মেম্বর সিনিয়র সাংবাদিক মেজবাহ মান্নু বলেন, গাছ আমাদের ছায়া। বারবার গাছের উপর আঘাত আসাটা হুমকি স্বরপ। এখনোই বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা দরকার। যেভাবেই হোক গাছগুলো রক্ষা করা দরকার। আমাদের দাবি যে গাছ গুলো উপড়ে পড়েছে সেগুলো যাতে অপসারণ না করা হয়। নতুন ভাবে গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করার এখনি সময় এসেছে।
পটুয়াখালী উপ-বন সংরক্ষক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, যে ক্ষতি হয়ে গেছে তা অপূরনীয়। যে গাছগুলে পড়ে গেছে তা আমরা ঐখান থেকে সরাবোনা। তাতে সয়েল ইরোসন কম হবে। ন্যাচারলি রিকভারি হবে। রিকভারি প্লান হিসেবে আমরা ঝাউ গাছ লাগাব এ বছরই।