চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় মতিয়ার রহমান মতি (৫২) নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার মেয়ে ময়না খাতুনের (২৫) বিরুদ্ধে। কুপ্রস্তাব দেওয়ায় নিজের বাবাকে খুন করেছেন বলে স্বীকার করেছেন মেয়ে।
শনিবার সকালে উপজেলার দেহাটী গ্রামের নিজ বাড়িতে শোবারঘরে খুন হন মতিয়ার রহমান। নিহত মতিয়ার দেহাটী গ্রামের মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে। তিনি দেহাটী বাজার ও আশপাশের গ্রামে ভাঙাড়ি কেনাবেচা করতেন। তিনি দেহাটী মাঠপাড়ায় স্ত্রী, মেয়ে ময়না খাতুন ও দুই নাতনিকে নিয়ে বসবাস করতেন।
স্থানীয়রা জানান, মেয়ে ময়নাকে পাশের গ্রাম কাশিপুরের সুমন নামে এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। পরে সুমন আরেকটি বিবাহ করায় ময়না বাবার বাড়ি চলে আসেন এবং সেই থেকে বাবার বাড়িতেই বসবাস করেন।
বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করে মেয়ে ময়না বলেন, আমার আব্বা আমাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় আমি তাকে ঘুমের মধ্যে ছুরি দিয়ে গলা কেটে পরে তার গোপনাঙ্গ কেটে হত্যা করি।
জীবননগর থানার ওসি মো. জাবিদ হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে পৌঁছে লাশ নিয়ে আসি।হত্যার সঙ্গে জড়িত নিহতের মেয়ে ও স্ত্রীকে থানায় নিয়ে হত্যার আসল কারণ জানার চেষ্টা করছি।