আব্দুর রাজ্জাক সিনিয়র রিপোর্টার:
জয়পুরহাট দোগাছি ইউপির, ঘাসুরিয়া গ্রামের চক শ্যাম টু ঘাসুরিয়া গানী পাকা রাস্তার পূর্ব পার্শ্বে জনৈক মোঃ মামুনুর রশিদ এর পটল ক্ষেত থেকে হাত পা বাঁধা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় এক আদিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত আদিবাসী উপজেলার চক গোপাল (আদিবাসী পাড়া) গ্রামের মৃত অর্জুন উড়াও এর পুত্র বুদলা উড়াও (৫০) সে একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালক ছিলেন।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে নিহতের স্ত্রী আদরী কুজুর (৪০) বাদী হয়ে গত (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩) অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মামলা নং ৭৪ । ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ জানান, এজাহার ও ঘটনা সুত্রে জানা যায় নিহত আদিবাসী অটোরিক্সা চালিয়ে জিবিকা নির্বাহ করতেন, প্রতিদিনের ন্যায় গত (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩) বিকাল অনুঃ ০৪.৩০ মিনিট সময় রিক্সা লইয়া বাড়ি হইতে ভাড়ার উদ্ধেশে • জয়পুরহাট শহরে রওনা হয়। অনেক রাত হওয়ার পরেও বাসায় ফিরে না আসায় নিহতের স্ত্রী বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর করিতে থাকিলে একই তারিখ রাত্রী অনুঃ ১১.০০ ঘটিকার সময় একই গ্রামের মোঃ সাব্বির (১৯), ও মোঃ নাইম (১৯), গনের মুখে জানিতে পারে যে, তাহাদেরকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে পুনরায় ভাড়ার উদ্দেশ্যে বাহির হইয়াছে। পরে আর কোন খোঁজ খবর না পাইয়া রাত্রী অনেক হওয়ায় নিহতের স্ত্রী নিজ ঘরে ঘুমাইয়া যাই। পরের দিন (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩) সকাল অনুমান ০৭.০০ মিনিট সময়ে লোকমুখে জানিতে পারে যে, তাঁর স্বামী বুদলা উড়াও এর লাশ উক্ত ঘটনাস্থলে মামুনুর রশিদ এর পটল ক্ষেতে পড়ে আছে। বিষয়টি শুনিয়া নিহতের স্ত্রীসহ তাঁর পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখে বুদলা উড়াও এর মৃতদেহ হাত পা বাঁধা শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত গুরুত্বর কাটা জখম ও গলায় গামছা পেচাঁনো অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে।
তখন স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন ও লাশ ময়না তদন্তের জন্য আধুনিক জেলা হাসপাতাল, জয়পুরহাট মর্গে প্রেরণ করেন।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর নিকট মোবাইল ফোনে ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে ওনারা বলেন অতি দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি এহেন নিসংশখুনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।