ঢাকাস্থ তানিশা ওয়ার্ল্ড রিক্রুটিং এজেন্সীরিক্রুটিং ( লাইসেন্স না. : ২১৫৫) মালিক মাহবুবুর রহমান (রুবেল)বিরুদ্ধে একাধিক পাসপোর্ট জব্দ,দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে পাঠানোর নাম করে হয়রানি, অর্থ আত্মসাৎ,জাল ভিসা,ওয়ার্ক পারমিট ও বিমানের টিকেট সহ করোনা সার্টিফিকেট তৈয়েরির জালিয়াতি ও গ্রাহকদের হুমকি-ধমকি ,মাদক সেবনসহ অনেক অসামাজিক কর্ম কান্ডের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন তানিশা ওয়ার্ল্ড রিক্রুটিং এজেন্সী মালিক মাহবুবুর রহমান (রুবেল)।তার ঢাকাস্থ অফিসের ঠিকানা হলঃ হাউস নাম্বার :৯৮, রোড নাম্বার :-২, ব্লক-এ, নিকেতন, গুলশান-১, ঢাকা,বাংলাদেশ।সে বসবাস করে হাউস নাম্বার : ৪৮, ব্লক-ডি ,রোড নাম্বার : ০৮, ফ্লাট-বি তিন , নিকেতন-১,গুলশান-১, ঢাকা, বাংলাদেশ। মাহবুবুর রহমান (রুবেল) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার পুরকুইল গ্রামের। তার পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিরাসার গ্যাস ফিল্ড এলাকায় থাকেন।
১৯ শে অক্টোবর সোনার বাংলা ৩৬৫কম. তে নিউজটি প্রচারিত হওয়ার পর শতাধিক গ্রাহক তাদের অর্থ আত্মসাৎ ও জাল ভিসা,জাল ওয়ার্ক পারমিট ও জাল বিমানের টিকেট সহ করোনা সার্টিফিকেট তৈয়েরির জালিয়াতি ও গ্রাহকদের হুমকি- ধুমকি অভিযোগ উঠেছে।এখন মাহবুবুর রহমান (রুবেল) নতুন ফাঁদ পেতেছে তা হলো লিথুনিয়া ওয়ার্ক ভিসা ।গ্রাহকের চাপে মাহবুবুর রহমান রুবেল ও তার অফিস সহযোগীরা অফিস ছেড়ে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ এম আর মঈন, কেশবপুর, যশোর থেকে আসা এক ভোক্তভুগি, সকাল- সন্ধ্যা মাহবুবুর রহমান (রুবেল) এর অফিসে অবস্থান করেও রুবেলের দেখা পাচ্ছে না।অধ্যক্ষ এম আর মঈন বলেন ,মাহবুবুর রহমান তাঁর কাছ থেকে ৩৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ।গত একমাস ধরে সে আমার ফোন ধরে না, তাই উপায় না দেখে আমি গত এক সপ্তাহ ধরে তার অফিসে সকাল সন্ধ্যা পার করছি ।অন্যদিকে মোঃ আজাদ নোয়াখালী থেকে গত এক সপ্তাহ ধরে গুলশানের বিভিন্ন ক্ষমতাশীল ব্যক্তির মাধ্যমেও তার টাকা ও পাসপোর্ট উদ্ধার করতে পারছে না।
অন্যদিকে মাহবুবুর রহমান লিথুনিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নামে একটি নতুন ফাঁদ তৈরি করেছে।লিথুনিয়ার জন্য গত চার মাসে সে বিশটি জাল ওয়ার্ক পারমিট বের করে ।এতে সহযোগিতা করে তার ভিসা কাউন্সিলার জয় ।জয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রাহককে কনভেন্স করে সে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ার নেয় ।
এ বিষয়ে জয়কে জিজ্ঞেস করলে জয় বলেন,সে আমাকে ব্ল্যাকমেল করে এ কাজগুলা করতে বাধ্য করেছে এবং সে একজন মাফিয়া।সে সবকিছু সূক্ষ্ম পরিকল্পিতভাবে করে থাকেন ।যেমন:গ্রাহক ডিল করার সময় সে নিজে টাকা হাতিয়ে নেয়, তারপর আর কোন যোগাযোগ করে না,জাল ওয়ার্ক পারমিট দেওয়ার পর সে আবার নিজের থেকে গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করে,প্রথমে খুব নরম সুরে কথা বলে এতে কাজ না হলে গ্রাকদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়।
২০ জনের মধ্যে পারভেজ নামের একজনকে মাহবুবুর রহমান (রুবেল) কনভেন্স করেছেন ফিরোজা নামের এক নারীর মাধ্যমে । ভিসা কাউন্সিলার জয় বলেনঃ এপ্রিল ২০২৩এ আমি জয়েন করার পর একজনকেও সে একটি সঠিক পারমিট ও কাউকে বিদেশে পাঠাতে দেখিনি ।শত শত মানুষ কে সে ঠকিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ।জয় আরো বলেন ,বিভিন্ন গ্রাহক পুলিশ নিয়ে অফিসে আসেন কিন্তু মাহবুবুর রহমান দিনের বেলায় অফিসে আসেন না। রাত নয় টার পরে অফিসে এসে আড্ডা ও মাদক সেবন করেন।ক্ষমতাশীল ব্যক্তি ও প্রশাসন এ বিষয়ে তাকে সহযোগিতা করে বলে জয় মনে করেন ।
জয় আমাদের প্রতিবেদক কে বলেন,এখন মাহবুবুর রহমান আমাকে ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে হুমকি -ধুমকি ও ভয়ভিত্তি দেখাচ্ছে।আমার জীবন নিয়ে এখন অনিশ্চিত জীবন যাপন করছি।
এই বিষয়ে বিল্ডিংয়ের মালিক আজাদ বলেন ,আমি মাহবুবুর রহমানকে রাত্রের বারোটার সময় গিয়ে অফিসে পায়।বিভিন্ন জেলার মানুষ এসে আমাকে তার প্রতারণের বিষয়ে অভিযোগ করেন।আমি থাকে অফিস ছাড়তে বললে সে অফিস ছাড়ে না ।
এদিকে ইব্রাহিম নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে সে ও তার ভাই তাজিন লিথুনিয়া জন্য এক লাখ টাকা দেয়এবং তাদের ওয়ার্ক পারমিটটি জাল হয়। প্রশাসনের মাধ্যমে আমি জালের বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে ,মাহবুবুর রহমান এর সত্যতা স্বীকার করে এবং আমাকে টাকা ফেরত দেবে বলে আশ্বাস দেয় কিন্তু এখন পর্যন্ত সে টাকা দেয়নি।
সোহেল টাঙ্গাইল থেকে বলে আমরাও তার দ্বারা প্রতারিত হয়েছি। সে একজন রাঘব বোয়াল তার থেকে আমরা টাকা উদ্ধার করতে পারবো না।
সরকার নিবন্ধন প্রাপ্ত একটি লাইসেন্স ব্যবহার করে শতশত মানুষের স্বপ্ন কিভাবে ভাঙ্গে তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার চাই যেন এভাবে কেউ প্রতারিত না হয় এবং তারা সঠিক বিচার করে ।
এ বিষয়ে মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও উনি সাড়া দেয়নি ।