ঢাকাস্থ তানিশা ওয়ার্ল্ড রিক্রুটিং এজেন্সী ( লাইসেন্স না. : ২১৫৫) মালিক মাহবুবুর রহমান (রুবেল)বিরুদ্ধে একাধিক পাসপোর্ট জব্দ,দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে পাঠানোর নাম করে হয়রানি, অর্থ আত্মসাৎ,জাল ভিসা,ওয়ার্ক পারমিট ও বিমানের টিকেট সহ করোনা সার্টিফিকেট তৈয়েরির জালিয়াতি ও গ্রাহকদের হুমকি-ধমকি ,মাদক সেবনসহ অনেক অসামাজিক কর্ম কান্ডের অভিযোগ উঠেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তি তানিশা ওয়ার্ল্ড রিক্রুটিং এজেন্সী বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন তানিশা ওয়ার্ল্ড রিক্রুটিং এজেন্সী মালিক মাহবুবুর রহমান (রুবেল)।
হাউস ন: ৪৮, ব্লক-ড,রোড নো: ০৮, ফ্লাট-বঁ৩, নিকেতন-১,গুলশান-১, ঢাকা, বাংলাদেশ। এজেন্সী মালিক মাহবুবুর রহমান (রুবেল)গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
অভিযোগকারী আব্দুর রহিম জানান, এই বছর এপ্রিলে আমার ছেলেকে কুসভা (ইউরোপ ইউনিয়নেরএকটি দেশ )পাঠানোর উদ্দেশ্যে তানিশা ওয়ার্ল্ড রিক্রুটিং এজেন্সী মালিক মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে সে আমার ছেলে তপনকে বিদেশে পাঠাবে বলে আশ্বাস দেন। আমি আমার ছেলে তপনের পাসপোর্টটি কোরিয়া সার্ভিসে মাধ্যমে মাহবুবুর রহমান (রুবেল) নিকট পাঠায় এবং ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৪ হাজার টাকা পাঠাই । গত কুরবানী ঈদের আগে দিন সে আমাকে ওয়ার্ক পারমিটের একটি কাগজ দেয় এবং ওয়ার্ক পারমিটের সাথে এক লাখ টাকা দেওয়ার জন্য আমাকে চাপ দেই। আমি গরু বিক্রি করে এক লাখ টাকা এজেন্সী মালিক মাহবুবুর রহমান (রুবেল) একাউন্টে পাঠায়।
সে আমার ছেলে তপনের টিকার কার্ডের সংশোধনী ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাবদ বিকাশের মাধ্যমে আরো বিশ হাজার টাকা নেন। তারপর তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সে আমাকে বলে ঢাকাস্থ কোসুভা এম্বেসী অ্যাপয়েন্টমেন্ট এর দেরি হবে বলে আমাকে আশ্বাস দেয়। তার কথাবার্তা চালচলনে সন্দেহ হওয়ায় আমি কুসভা এম্বাসিতে যোগাযোগ করলে তারা তানিশা ওয়াল্ড রিকুইটিং এজেন্সির নামে কোন ওয়ার্ক পারমিটের অ্যাপয়েন্টমেন্ট এ পায়নি বলে জানান।
আমি তাকে তখন মুঠোফোনের মাধ্যমে এ কথাটা জানালে তিনি রাগে ক্ষুব্ধ হয়ে সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে আমাকে হুমকি-ধমকি ,পুলিশের ভয় ও হত্যার ভয় দেখায়। আমি একজন গরিব মানুষ। আমার ছেলে তপনকে বিদেশে পাঠিয়ে একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসাবে আমার ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিলাম।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে যোগাযোগ করি।উনারা আমাকে জেলা কর্মসংস্থা ও জনশক্তি অফিসে অভিযোগ দাখিলের পরামর্শ দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত বলেন,আমি শামসুল হাসানের কাছ থেকে অভিযোগটি গ্রহণ করি ।শীঘ্রই মাহবুবুর রহমান রুবেলের সাথে যোগাযোগ করে এই সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করব ।