সিনিয়র রিপোর্টার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের একটি গ্রামে হিন্দু গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ এবং বাড়ীঘর লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ জানান ঘটনা সুত্রে জানা যায়,বাড়িঘর লুটপাট ও ভাংচুরের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের তিন সন্তানের এক জননী (৩৫) কে গণধর্ষণ করা হয়েছে। গত (৫ আগস্ট ২০২৪) সোমবার রাত ৮.০০ মিনিট সময়ে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার বিকেলে শেখ হাসিনা দেশত্যাগের ফলে দাসপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ভিকটিম এক ছেলে ও মেয়েকে অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়ে বৃদ্ধা শাশুড়িকে নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন উক্ত সময়ে ৩০/৩৫ জন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত তাদের বাড়িতে এসে লাইট ভেঙে দিয়ে দরজা ও জানালা ভাঙচুর করে, ঘর থেকে গৃহবধূর হাতের সোনার বালা, কানের দুল, অপারেশনের জন্য রাখা নগদ এক লক্ষ টাকা, জমির দলিল, টিভিসহ কমপক্ষে পাঁচ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে নেয়। একপর্যায়ে এক লুটেরা গৃহবধূর হাত ধরে বাড়ির পাশে গোয়াল ঘরের পিছনে নিয়ে যায়। এরপরপরই সেখানে চলে যায় আরো চারজন। তাদের কথা না শুনলে ঘরবাড়ি ভাংচুর করে বিরানভূমিতে পরিণত করা হবে বলে হুমকি দেয়। ঘরবাড়ি ভাংচুর না করার অনুরোধ জানালে একপর্যায়ে পাঁচজন পালাক্রমে ধর্ষন করে। ঘটনার কথা কাউকে জানালে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায় মুখোশধারী ধর্ষণকারীরা।
ঘটনা সুত্রে আরও জানা যায়, ওই নারী বর্তমানে খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি এক কৃষকের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী, বাবা, মা মারা যাওয়ার পর ভাই না থাকায় স্বপরিবারে সেখানেই বসবাস করেন তারা। প্রোষ্টেড গ্লান্ডে মাংস বৃদ্ধি পাওয়ায় তার স্বামী
কয়েকদিন যাবৎ খুলনা ৫০০ শয্যা
হাসপাতালের চিকিৎসক মোঃ তাজুর
রহমানের ক্লিনিকে ভর্তি ছিলেন।
বিষয়টি কিছুক্ষণ পর খুলনায় অবস্থানকারী তার স্বামীকে মোবাইল ফোনে অবহিত করেন। ধর্ষিতার স্বামী জানান, স্ত্রীর ধর্ষণের কথা জানতে পেরে ভিকটিমের স্বামী বাড়ি ছেড়ে দেয়। একপর্যায়ে স্থানীয় জামায়াত নেতা ডাঃ কামাল ও এবাদুলের আশ্বাসে গত মঙ্গলবার সকালে ভিকটিমের স্বামী বাড়িতে আসেন। তার স্ত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন জামায়াত নেতারা। এরপরও তার স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে জামায়ত নেতা ডাঃ কালাম এর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বি ডি এম ডাব্লু স্থানীয়ভাবে ঘটনার তদন্ত করছে, বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি জেলা পুলিশ সুপারের সাথে ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন প্রতিকারের জন্য কেউ থানায় এফআইআর করতে আসেনি।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অতি দ্রুত অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
Like this:
Like Loading...