1. admin@sonarbangla365.com : newsbangla2023 :
দণ্ডপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি প্রশাসনের নাকে ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে :পর্ব ২ - Sonar Bangla365
রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন
আপডেট নিউজ

দণ্ডপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি প্রশাসনের নাকে ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে :পর্ব ২

মোহাম্মদ ইবনুল রাশেদ
  • Update Time : বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩
  • ৩৩৪০ Time View
দণ্ডপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি প্রশাসনের নাকে ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে :পর্ব ২
দণ্ডপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি প্রশাসনের নাকে ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে :পর্ব ২

নিজস্ব প্রতিনিধি ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া :

মোঃ বিদ্যুৎ মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলার আখাউড়া উপজেলার বনগজ গ্রামে মোঃ দুলাল মিয়ার ( মার্ডার কেসের আসামি) ছেলে । মোঃ বিদ্যুৎ মিয়া ও তার গ্যাং অত্যাচারে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ।
মোঃ বিদ্যুৎ মিয়া বনগজ গ্রামে ছিনতাই , চাঁদাবাজি , চুরি ,ডাকাতি ,মাদক সেবন ও মাদক বিক্রি করে আসছে বহুদিন ধরে । কিছু অসাধু প্রশাসনের লোকদের পরোক্ষ সহযুগিতা বিদ্যুৎ মিয়া তার অপরাধ সম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন বলে স্থানীয় গ্রামবাসী অভিযোগ করেছেন।

২০২০ সালে করোনা চলাকালীন সময়ে সে গ্রামে ফিরে আসে ।তারপর থেকে সে গ্রামে বখাটে ও খারাপ কিছু যুবক নিয়ে গ্যাং তৈরি করেন। তার সহযোগীরা হলেন-আমির খাঁ, পিতা মিলন খাঁ ,মোসন মিয়া ,পিতা ইরন মিয়া ,সফউল্লা, পিতা বজলু মিয়া ,শামীম মিয়া ,হামদু মিয়া।

স্থানীয়দের মতে, বিদ্যুৎ মিয়া কে গ্রেফতার করার জন্য কয়েকবার প্রশাসন থাকে অভিযান চালায় কিন্তু সে আগ থেকে অভিযানেএর তথ্য পেয়ে গ্রামের কবরস্থানে, মাঠে-ঘাটে বিভিন্ন ও নির্জন জায়গায় আশ্রয় নেয়।অভিযান শেষ হয়ে গেলে আবার গ্রামে ছিনতাই চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ,মাদক সেবন ও মাদক বিক্রি শুরু করে।ফলশ্রুতিতে সে থাকে প্রশাসনের ধরা ছুয়ার বাহিরে।যদি কেউ প্রতিবাদ করে তাহলে তাকে মার -ধর করে ও ঐ বাক্তিকে জিম্বি করে টাকা আদায় করে ।বিদ্যুৎ মিয়া ও তার গ্যাং প্রতিদিন বনগজ গ্রামে চুরি ডাকাতিও ছিনতাই চালিয়ে যাচ্ছে ।

বনগজ গ্রামের বদরুজ্জামান বলেন ,সে গ্রামে আসার পর থেকে সকল প্রকার অন্যায় কাজ কর্ম শুরু হয়। বিদ্যুৎ মিয়া তাঁর ছেলে কে মারধর করে মুক্তিপন আদায় করেন । মজনু মিয়া নামে এক স্থানীয় বলেন, সে আমার ঘর থাকে গরু চুরি করেছে । তার ভয়ে কিছু বলতে পারি না । ইমন নামে এক স্থানীয় বলেন, ধাঁরালো ছুরি দেখিয়ে তার কাছ থেকে বিদ্যুৎ মিয়া একটি এন্ড্রয়েড সেট নিয়ে যায়। পরে আমি এই বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি।কিন্তু থানা থেকে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি।

গতকিছু দিন আগে মূলহোসেন নামে একজন গ্রামবাসীর একটি নৌকা নিখোঁজ হয়। মূলহোসেন বিদ্যুৎ মিয়া কে নৌকা সম্পর্কে জানতে চাইলে সে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে নৌকা দিতে রাজি হয়।নাম প্রকাশহীন একজন বলেন বিদ্যু মিয়ার এই অপরাধ কর্মকান্ডে পেছনে মূল হোতা হচ্ছে তার মা সখিনা বেগম।নাম প্রকাশ হীন একজন বলেন, কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা বিদ্যু মিয়ার সাথে পরোক্ষ ভাবে জড়িত।

পুলিশ যখন গ্রামে আসেন তখন বিদ্যুৎ মিয়ার সাথে আগ থেকে যোগাযোগ করে আসেন।পুলিশ আসার আগ থেকে তথ্য পেয়ে বিদ্যুৎ মিয়া নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। ফলে বিদ্যুৎ মিয়া থাকেন ধরা ছুঁয়ার বাহিরে। এইভাবে সে বছরের পর বছর তার অপরাধ সম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

আমেনা খাতুন বলেন, কিছুদিন আগে আমি খোরশেদ স্যারের(পুলিশ কর্মকর্তা ) সাথে ফোনে কথা বলি । আমাদের ঘর চুরি হয়েছে এ খবরটি তাকে জানায়। আর আমার কাছ থেকে বিদ্যুৎ মিয়া সম্পর্কে তথ্য গ্রহণ করেন এবং আমাকে আশ্বাস দেন তিনি বিদ্যুৎ মিয়াকে ধরবেন কিন্তু আজ পর্যন্ত আর কোন খবর মেলেনি।

এ বিষয়ে বনগজ গ্রামের মেম্বার আব্দুল আলিম বলেন দুই বছর ধরে তার অনেক অভিযোগ আমার কাছে আসে এবং আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে থানার সাথে ও পুলিশ ফাঁড়ির সাথে এবং র্যাব সাথে অনেকবার যোগাযোগ করে তাকে ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু তারা আমার কোন সহযোগিতা করেনি।আব্দুল আলীম আরো বলেন ,আমাদের গ্রাম থেকে আখাউড়া থানায় একাধিক বার অভিযোগ রয়েছে।

আমি প্রতিদিন ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির সাথে যোগাযোগ করার সত্বেও কোন ফল পাচ্ছি না। আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে অনুরোধ করছি যে আমাদেরকে আপনারা সহযোগিতা করুন ।ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই খোরশেদ কে বিদ্যুৎ মিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন আমরা রোজ অনেক অভিযোগ পাই বিদ্যুৎ মিয়ার বিরুদ্ধে ।

এই বিষয় আখাউড়া থানার ওসির আসাদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তার ব্যবহারিত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Copyright © 2017-2023 SonarBangla365
Theme Customized BY LatestNews
%d bloggers like this: