শনিবার দুপুরের দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঋণের বোঝায় দিশেহারা কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৩০/৩৫ হাজার জেলে পরিবার। মৎস্য আড়তগুলোতে আগের মতো কর্মব্যস্থতা নেই। আড়তের জেলে শ্রমিকরা বেকার দিন পার করছে। যুবক শ্রেণির শ্রমকরা আড়তে ভিড় করে টেলিভিশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা চায়ের দোকানে বসে গল্প-আড্ডায় সময় পার করছে। কিছু জেলে পুরানো জাল সংস্কার করছে। এক কথায় কর্মব্যস্ত মাছ বাজারের মানুষগুলো কর্মহীন অবস্থায় সময় পার করছে।
জেলে সলিম উদ্দিন বলেন, বেসরকারী এনজিও থেকে বৌ-এর মাধ্যমে লোন নিয়েছিলাম, এদিকে সাগরে মাছ পড়েনা কি করে যে কিস্তির টাকা দিমু, সারাক্ষন হেই চিন্তায় পাগল থাকি।
ট্রলার মালিক সালঅম দেওয়ান জানায়, এক একবারদেড়-দুই লক্ষ টাকার বাজার দিয়ে ট্রলারে বাজার দিয়ে সাগরে পাঠাই, কিন্তু মাছ পায় ১৫/২০ হাজার টাকার তা দিয়ে জেলদের দিবো না দোকানের বকেয়া দিবো, নাকি নতুন করে আবার বাজার দিয়ে সাগরে পাঠাবো এনিয়ে আমরা এখন হতাশার মধ্যে আছি।
মহিপুর আল্লাহ ভরসার আড়ৎ মালিক মো. লুনা আকন বলেন, আমারা ট্রলার মালিকদের যে বাজার দিছি তা শেষ, কিন্তু কোন মাছই নেই, বর্তমানে অনেক আড়ৎদার, ট্রলার মালিক একেবারে পথে বসে গেছে। এখন আমরা একমাত্র আল্লাহর দিকেই তাকিয়ে আছি।
মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মো. দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বলেন, এভাবে আর কিছু দিন মাছ না পড়লে আমাদের সকল আড়তে তালা মারতে হবে। এখন আল্লাহই একমাত্র ভরসা।