সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুর রাজ্জাক।
নওগাঁ সদরে কীর্ত্তিপুর ইউপির, চেয়ারপুর গ্রামের চোয়ারপুর মোড়ে সর্বজনীন শ্রী শ্রী কালীমন্দিরে, গত (২৬ মে ২০২৪) রবিবার দিনগতরাতে মন্দিরে থাকা কালী মুর্তি ভাংচুর করেছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ জানান,এলাকাবাসী ও মন্দির কমিটির নেতারা বলেন, সদর উপজেলার চেয়ারপুর মন্দিরে উক্ত তারিখে রাতের আঁধারে কে বা কারা মন্দিরের বাঁশের বেড়ার দরজা সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে কালী মুর্তি ভাংচুর করে মুর্তির গলার অংশ থেকে মাথা কেটে নিয়ে চলে যায়। পরের দিন সোমবার সকালে স্থানীয় এক নারী মন্দিরে পুজা দিতে এসে প্রতিমা ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পেয়ে মন্দির কমিটির লোকজনকে জানান। পরে এলাকাবাসীসহ মন্দিরে এসে সবাই এ ঘটনা দেখতে পান। তবে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা শনাক্ত করতে পারেনি কেউ। মন্দির কমিটির সভাপতি ভবেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, আমরা তা জানি না। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনা জানার পরপরই সোমবার সকালে বিষয়টি আমরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশকে জানিয়েছি। ঘটনা জানার পর ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে (২৭ মে) সোমবার সারা দিন এ ব্যাপারে পুলিশকে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। পুলিশের কেউ মন্দির পরিদর্শনে আসেনি। তবে ঘটনাটি স্থানীয় কিছু গণমার্ধমকর্মীরা জানার পর প্রশাসন ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফোন দিলে (২৮ মে)মঙ্গলবার দুপূরে পুলিশের কয়েকজন সদস্য এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত ভাঙ্গা মুর্তি বিসর্জন দেয়ার চাপ দিয়েছেন বলে পুুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় হিন্দু-মুসলিম ভাই ও বোনেরা সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বসবাস করে আসছে। সেই সম্প্রীতিকে নষ্ট করার অপপ্রয়াসের অংশ হিসেবে প্রতিমা ভাংচুর করে থাকতে পারে কোনো চক্র। ঘটনা জানার পরপরই তিনি থানা পুলিশকে অবহিত করেছ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
নওগাঁ জেলা পূজা উদযাপন কমিটি সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিভাস মজুমদার জানান, ঘটনাটি কিছুই জানা নেই, ঘটনা জেনে বিস্তারিত বলতে পারবো ।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক এর নিকট উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন থানায় এখনো কেউ মামলা দায়ের করেনি সেই কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। ভাঙ্গা মূর্তি সরানোর চাপ দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শীঘ্রই মামলা নেয়া হবে এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান।
Like this:
Like Loading...