নাটোরের নলডাঙ্গা পৌরসভায় ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফের চাল নেওয়ার সময় মেয়র ও তার সমর্থদের হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে পৌর ভবনের বারান্দায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত চারজনকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নলডাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৯৪ জন হতদরিদ্র ব্যক্তির মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ চলছিল।
চাল বিতরণের তদারকি করছিলেন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম পিয়াস। এ সময় পূর্ববিরোধের জের ধরে পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান সেখানে গিয়ে কাউন্সিলর শরিফুল ইসলামের সঙ্গে তালিকার বাহিরে ব্যক্তিদের চাল বিতরণ করাসহ টিপসই বা স্বাক্ষর না দিয়ে একই ব্যক্তি একাধিক নামে চাল নেওয়ার অভিযোগ তোলেন।
এ সময় দুজনের মধ্যে তর্কতাতর্কির এক পর্যায়ে মেয়র কয়েকজনকে চরথাপ্পর মারেন। এ সময় মেয়র সমর্থকেরা পিয়াস সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়।
এতে ৮/১০ জন আহত হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ সময় হামলায় গুরুতর গুরুতর আহত সোনাপাতিল গ্রামের মনিরুল ইসলাম (২২), মিঠুন আলী (৩৫), রকি আলী (২৫) ও জেলার হোসেনকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম পিয়াস বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে আমার সঙ্গে মেয়রের বিরোধ রয়েছে।
একটি মামলার কারণে মেয়র আমাকে দুই মাস ধরে ভাতা দেননি। তিনি আমার মাধ্যমে ভিজিএফ চাল বিতরণ করতে চান না। আমি জেলা প্রশাসক ও ইউএনওকে বলে আমার ওয়ার্ডের দুস্থদের মধ্যে চাল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়র ও তাঁর লোকজন আমার এলাকার লোকজনকে মারধর করে আহত করেন। কারও কারও বেশ কয়েকটি করে সেলাই দিতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম জানান, পৌরসভায় ভিজিএফের চাল বিতরণ নিয়ে কাউন্সিলর ও মেয়রের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। তবে শুনেছি কাউন্সিলরের কিছু লোকের কার্ড ছিল না। তবু তারা চাল নিতে এসেছিলেন। মেয়র তাদের বাধা দিলে গোলমাল হয়।