আবু রায়হান, জয়পুরহাটঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে এক নাবালিকা মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার আসামী ধর্ষক ইছাহাক আলী (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব- সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্প।
গত পহেলা ফেব্রুয়ারি দুপুরে জেলার ক্ষেতলাল থানাধীন তিলাবদুল মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের মাদ্রাসা পড়ুয়া ১২ বছরের নাবালিকা কন্যা বাড়ির পার্শবর্তী ইছাহাক আলীর বাড়ীতে গেলে এ সময়ে বাড়ীতে কেহ না থাকার সুযোগে গ্রেফতারকৃত আসামী ইছাহাক আলী (৫৫) জোরপূর্বক পাশের একটি ঘরে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
এ সময়ে মেয়েটির ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত ইছাহাক আলী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক ইছাহাক আলীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন এবং নাবালীকা মাদ্রাসা ছাত্রী এ ধরনের ঘৃণিত ধর্ষনের শিকার হওয়ায় বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং মানুষ ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব অপরাধীকে গ্রেফতারের নিমিত্তে গোয়ান্দা নজরদারী জোরদার করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদ এবং সহকারি পুলিশ সুপার আমিনুল এর নেতৃত্বে ৫ ফেব্রুয়ারি ভোর ০৪:২০ ঘটিকায় জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানাধীন শিশি নাজিরপাড়া গ্রাম হতে ধর্ষক ইছাহাক আলী কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ইছাহাক আলী ক্ষেতলাল থানাধীন তিলাবদুল মধ্যপাড়ার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।
এই চাঞ্চল্যকর ধর্ষন মামলার আসামী অতি স্বল্প সময়ে গ্রেফতার হওয়ায় জনমনে শস্তি এসেছে এবং এলাকায় সর্বস্তরের লোকজন র্যাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
গ্রেফতারকৃত ইছাহাক আলীকে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানায় জিডি মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Facebook Comments