– অনেক পুরুষ আত্মসমালোচনা না করে অন্যের সমালোচনায় আনন্দ বোধ করে। আর এর দ্বারা যে গিবতের গুনাহ হচ্ছে, সে কথা ভাবতেও চায় না। অথচ গিবত খুবই ভয়াবহ গুনাহ। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ১৯৮৮)
– অনেকে অন্যকে সালাম দিতে চায় না। অন্যদিকে অনেকে সালামের জবাবই দেয় না, আর কেউ সালাম দিলেও ঘাড় নেড়ে বা মনে মনে দেয়। অথচ সালামের উত্তর শুনিয়ে দেওয়া ওয়াজিব। (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৮৭৮৭)
– অনেক পুরুষ স্ত্রী থেকে নিজের হক ও পাওনা ষোল আনায় পূর্ণ করে, কিন্তু তার ওপর স্ত্রীর যে অধিকার আছে তা আদায় করতে চায় না। বরং অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের ওপর জুলুম করে থাকে। এটা অন্যায়। কেননা নারীদের তেমন ন্যায়সংগত অধিকার আছে, যেমন আছে তাদের ওপর পুরুষদের। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২৮)
– বহু পুরুষ সাংসারিক কোনো কাজে পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের সঙ্গে পরামর্শ করে না। ফলে কারণে-অকারণে পারস্পরিক অন্তঃকলহ বেড়ে যায়। তাই স্ত্রী ও বুদ্ধিমান সন্তানদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৫৯)
► বহু পুরুষ পুত্রসন্তান হওয়ার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী থাকে, পক্ষান্তরে কন্যাসন্তান হলে স্ত্রীকে দোষারোপ করতে থাকে। অথচ ছেলে বা মেয়ে হওয়া আল্লাহর ইচ্ছাধীন। (সুরা : শুরা, আয়াত : ৪৯, সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৪১৮)
► অনেক পুরুষ স্ত্রীদের অন্ধভক্ত হয়ে থাকে। কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়া সব ক্ষেত্রে স্ত্রীর কথাকে প্রাধান্য দিয়ে মা-বাবা, ভাই-বোনদের সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে দেয়। এমনটি হওয়া মোটেও কাম্য নয়। বরং সব সময় যেকোনো অভিযোগ যাচাই করে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তা না হলে মানুষের সামনে বেকুব সাব্যস্ত হতে হয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩০৪)
► অনেক বদমেজাজি পুরুষ সামান্য কারণে স্ত্রীকে মারপিট করে থাকে। এমনকি রাগের মাথায় তিন তালাক দিয়ে দিতেও কুণ্ঠা বোধ করে না। এজাতীয় পুরুষ কোরআনের নির্দেশ অমান্যকারী। কেননা কোরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘…আর তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সত্ভাবে জীবন যাপন করো।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৯)
► অনেক ভাই তার বোনদের পাওনা মিরাস আদায় করতে চায় না। অথচ বোনদের পাওনা আদায় করা ভাইদের ওপর ফরজ। আরো দুঃখজনক কথা হলো, অনেক জালিম বাবাও নিজের মেয়েকে বঞ্চিত করতে বা কম দিতে চেষ্টা করে থাকে। অথচ হাদিস অনুযায়ী এটা সরাসরি জাহান্নামে যাওয়ার রাস্তা। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২১১৩৯)
► অনেকে বিয়ের পর স্ত্রীপক্ষ থেকে যৌতুক গ্রহণ করে। কেউ কেউ যৌতুকটিই ভিন্ন নামে ভিন্নভাবে গ্রহণ করে। অথচ চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে বা কৌশল করে কারো থেকে ধনসম্পদ হাসিল করা হারাম। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৮)
► যুবকদের মধ্যে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বয়স কমানো আর বৃদ্ধদের মধ্যে বয়স বাড়ানোর বেশ প্রবণতা লক্ষ করা যায়। উভয়টি ধোঁকা ও প্রতারণা। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২১৬২)
Facebook Comments