বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে ঢিল ছুড়ে রাস্তায় ফেলার পর এক ছাত্রদলের নেতা পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলামকে নিশংসভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন,‘বিএনপি ঘোষণা দিয়েছিলো ১০ লাখ লোক তারা আজ সমাবেশে নিয়ে আসবে। ডিএমপি কমিশনারকে তারা জানিয়েছিলো, একদিকে তারা নাইটেঙ্গেল মোড় অন্যদিকে ফকিরাপুল পর্যন্ত থাকবে। তবে দেখলাম তারা আসতে আসতে প্রধান বিচারপতির বাসভবন পর্যন্ত এসেছে। সেখানে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল যাচ্ছিলো। তাদের উপর তারা আক্রমণ করে। শুধু আক্রমণ করেই ক্ষান্ত হয়নি, সেখানে তারা দুইটি পিক-আপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এরপর প্রধান বিচারপতির বাসভবনের গেট ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে যায়। এসময় পুলিশ আর নিষ্কিয় থাকতে পারেনি। পুলিশ তাদের কাজ করেছে। তাদেরকে ডেসপাস করে দিয়েছে।
পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদস্যকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। প্রথমে ঢিল ছুড়েছে, সে যখন পড়ে গিয়েছে, তখন এক ছাত্রদলের নেতা তাকে নৃশংসভাবে পিটিয়েছে। তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মাথা ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। এই দৃশ্য আমাদের সবার হৃদয়ে দাগ কেটেছে। তাদের একটি ঘোষণা ছিলো তারা একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে, ২০১৪ সালে যেমনটি করেছিলো। তবে আমাদের পুলিশ সদস্যরা চরম ধৈর্যসহকারে মোকাবেলা করেছে।
আগামী দিনেও করবে। তারা আগামীকাল (২৯ অক্টোবর) হরতাল ডেকেছে। বাস পুড়াচ্ছে। তবে আমরা নিশ্চয়তা দিতে চাই, যেই অগ্নিসংযোগ করবে, ভাংচুর করবে, আমরা ব্যবস্থা নিবো। কাজেই সবাই স্বাভাবিক গতিতে চলবে বলে আশা করি