সিলেটের গোয়াইনঘাট ডৌবাড়ী ইউনিয়নে হানিফ আহমদ নামে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে চারদিন ধরে অনশন করছেন এক কলেজছাত্রী। দাবি একটাই, বিয়ে।
প্রথমে পুলিশ সদস্যের পরিবার নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে বিদায় করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু মেয়েটি নাছড়বান্দা হওয়ায় তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মেয়েটি ওই প্রেমিক পুলিশের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের ঘোষগ্রামে। শনিবার সন্ধ্যায় প্রেমিক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে ওঠেন ওই কলেজছাত্রী।
প্রায় ২ বছর আগে হানিফের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক রূপ নেয় শারীরিক সম্পর্কে। প্রায় ছয় মাস আগে তিনি প্রেমিক হানিফকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু হানিফ বিয়েতে রাজি না হয়ে টালবাহানা শুরু করেন। একসময় যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেন। এরপরই প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত হানিফ আহমদ বলেন, ওই মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল, কিন্ত ছয় মাস আগে থেকে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আমার। কিন্তু হঠাৎ করে শনিবার ওই মেয়ে আমার বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছে। এখন আমার আত্মীয়স্বজন মিলে ওই মেয়ের সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রস্তুতি শেষ হলে বিয়ে করব।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি কেএম নজরুল জানান, কলেজছাত্রী নাছড়বান্দা থাকায় পঞ্চায়েত, জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বিয়ের ব্যবস্থা করতে বলেছেন পুলিশ সদস্যের পরিবারকে।