প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে চেয়ারম্যান পুত্র

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রবাসীর স্ত্রী সাবিনা আক্তারকে (২০) হত্যাকারী সাইফুজ্জামান তানভীরকে (২০) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর থানার বিরিশিরি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত তানভীর কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দুজ্জামানের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১৪ সিপিসি-৩ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের। তিনি জানান, ঘটনার এক মাস আগে কটিয়াদী বাজারে তানভীর ও সাবিনা আক্তারের পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্যে মোবাইলে নাম্বার দেয়া নেয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে তানভীর ও সাবিনা আক্তার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। ঘটনার দিন ৫ জানুয়ারি রাত ১১টায় মো. সাইফুজ্জামান তানভীর সাবিনার বাবার বাড়ি পৌরসভার কমরভোগ গ্রামের ফুলু মিয়ার বাড়িতে বারান্দার ঘরে অবস্থান করে। সেখানে তাদের দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক শেষে সাবিনা আক্তার তানভীরকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।

তানভীর সাবিনার প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে সাবিনাকে বুঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।সাবিনা তানভীরকে বলতে ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করে এবং সবাইকে বিষয়টি জানিয়ে দিবে বলে চিৎকার চেচামেচি শুরু করে। প্রথমে দু-জনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয় এক পর্যায়ে তানভীর তাদের মাথায় ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরি দিয়ে সাবিনার পেটে ও বুকে আঘাত করে এবং গলা কেটে ফেলে। মৃত্যু নিশ্চিত করে সাবিনার ফোন, সোনার চেইন, কানের দুল নিয়ে পালিয়ে যায় তানভীর।

এ ঘটনায় সাবিনার মা মদিনা আক্তার গত ৮ জানুয়ারি অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পরপরই হত্যাকারীর ওপর র‍্যাব নিরবচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারি চালায়।

২৭জানুয়ারি তানভীরকে গ্রেফতার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সত্যতা স্বীকার করেন।