কাঙ্ক্ষিত প্রার্থী মনোনয়ন না পাওয়ায় রাজশাহীর তানোরের দুবইল গ্রামে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন এক ব্যক্তি। রোববার বিকালে টিভিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণাকালে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তার মৃত্যু হয়।
মৃত সুরেশ কর্মকার (৬৩) তানোরের দুবইল গ্রামের মাহিয়া কর্মকারের ছেলে। সুরেশ তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানীর অনুসারী ছিলেন।
এলাকাবাসীসহ মৃত সুরেশের কন্যা কলাবলী কর্মকার (২৫) জানান, রোববার বিকালে দুপুরের খাবার খেয়ে তার বাবা টেলিভিশন দেখতে বসেন। এ সময় টিভিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নাম ঘোষণা চলছিল। ঘোষণার একপর্যায়ে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়।
সেখানে মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রাব্বানীর নাম না শুনতে পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অচেতন হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকেরা বিছানায় শুইয়ে দিয়ে কিছু সময় সেবা শুশ্রূষা করেন। হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে সুরেশ কর্মকার ইহলোক ত্যাগ করেন। মেয়ে কলাবতী ছাড়াও শংকর কর্মকার নামে সুরেশের ১২ বছরের একটি সন্তান আছে।
তানোরের দুবইল গ্রামের সনাতন হিন্দু সমাজের প্রধান খগেন্দ্রনাথ কর্মকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সুরেশ কর্মকার আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন।