পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রতিনিধি:
ফেনীর দাগনভূঞা থানার ওসি মো. হাসান ইমামের হস্তক্ষেপে ১৪ ঘন্টা পর দাফন করা হল ফেনী পলিটেকনিক ইনস্ট্রিউটের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ৯০ বছর বয়সী হাজী আবু আহমেদ মাস্টারের।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেডটার দিকে দাগনভূঞা পৌর শহরের আমানউল্যাহপুর গ্রামের হাসপাতাল রোডস্থ জননী ম্যানশনে বাধর্ক্যজনিতকারনে মৃত্যুবরণ করেন সাবেক এ শিক্ষক। তিনি উপজেলার উদরাজপুর গ্রামের মনু হাজী বাড়ীর বাসিন্দা।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মরহুম মাস্টার আবু আহমেদের ৭ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। তম্মধ্যে ছেলে নেছার হাফেজ, সোহেল, কাউছার, হেলাল ও দুই মেয়ে জেসমিন আক্তার এবং গোলশান আরা কে সকল সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে মরহুমের স্ত্রী ফিরোজা বেগম, ছেলে ইমাম উদ্দীন পারভেজ, এনায়েত উল্যাহ ফরহাদ ও নেয়ামত উল্যাহকে সমুদয় সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি করে দিয়ে দেন।
জীবিতাবস্থায় মাস্টার আবু আহমেদ সম্পত্তি বঞ্চিতদের কোন সম্পত্তি না দেয়ায়, সম্পত্তি বঞ্চিত সন্তানেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এবং তারা সম্পত্তির বিষয় সামাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের পিতা আবু আহমেদ লাশ দাফনে বাধা প্রদান করেন।
এসময় ভাই-বোনদের মাঝে সম্পত্তির বিষয় নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওইসময় ঘটনাস্থল থেকে জরুরি সেবা ‘৯৯৯’এ কল করলে সেখান থেকে দাগনভূঞা থানাকে অবহিত করে। খবর পেয়ে দাগনভূঞা থানার ওসি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও নিহতের সন্তানদের নিয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাসান ইমাম বৈঠকে বসে সম্পত্তির বিষয়টি পরবর্তিতে সামাধান করার আশ্বাস প্রদান করেন। এবং ১৪ ঘন্টার পর মরহুমের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
দাগনভূঁঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, লাশ দাফনে বাধা দেয়ার বিষয়টি ৯৯৯ এর সূত্র ধরে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি। সম্পত্তির বিষয় নিয়ে পরবর্তিতে তারাসহ স্হানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সামাধান করা হবে।
Facebook Comments