বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শহরের সাতমাথা বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ছুরিকাহত জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবির ইসলাম খানসহ ৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, বিকেলে শহর থেকে ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সমাবেশে যাবার পথে মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবিরের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় জেলা কমিটির সদস্য জাহিদ হাসানের।
সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি তখনকার মতো মিটে গেলেও ধুনট থেকে ফেরার পর রাতে আবারো দুই পক্ষ পরস্পরের ওপর চড়াও হয়। রাত ৯টার দিকে শহরের সাতমাথা বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ার এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। ঘটে ছুরিকাঘাতের ঘটনাও।
ঘটনার পরপরই শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের দেখতে যান বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আসাদুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায়।আসাদুর রহমান বলেন, তাকবির ইসলামকে ছুরিকাহত করা হয়েছে। তার মাথায়ও চোট লেগেছে। তার ওপর হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। ছাত্রলীগে এ রকম উচ্ছৃঙ্খলতা মেনে নেওয়া যায় না।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাকবির ইসলামের সঙ্গে থাকা তার সমর্থকদের অভিযোগ, আবদুর রউফের নেতৃত্বে সাতমাথায় তাকবিরসহ অন্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।
তবে আবদুর রউফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনার জেরে তাকবিরের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা আমার এবং কয়েকজন নেতাকর্মীকে ধাওয়া করেন। এতে হাতাহাতির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। সামনে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। আমি প্রত্যাশিত পদ যাতে না পাই, এ জন্যই আমার ওপর হামলার দোষ চাপানো হচ্ছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস জানান, ঘটনায় আহত জেলা ছাত্রলীগের নেতা তাকবির ও জাহিদ এবং সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা দুলালসহ ৩ জনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তাকবিরের পেটের দুই স্থানে ছুরিকাঘাত এবং মাথায় আঘাত রয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা গুরুতর। দলীয় কোনো বিষয় নয়, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনার সূত্রপাত বলেও দাবি করেন তিতাস।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, কথা কাটাকাটি থেকে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
Facebook Comments