উজিরপুর(বরিশাল) প্রতিনিধি: উজিরপুরের কিশোরী বাবুগঞ্জে পরকিয়ার বলী হয়ে আগুনে ঝলসানো অবস্থায় ৬ ঘন্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন রুমানা আক্তার (১৭)
বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের ১নং দেহেরগতি গ্রামের হাকিম খন্দকারের বখাটে ছেলে ১ কন্যা সন্তানের জনক সাগর খন্দকার ( ৩০) এর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পরেন উজিরপুর উপজেলার পূর্ব ধামসর গ্রামের মোস্তফা হাওলাদারের মেয়ে রুমানা আক্তার (১৭)। ৬ মাস পূর্বে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
২৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১ টায় দগ্ধ অবস্থায় ওই নারীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ওইদিন মধ্যরকিশোরী গৃহবধুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ।
জানা গেছে, সাগর বিবাহিত ছিলেন তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বছর খানেক আগে সাগর ও রুমানা পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়। এরপর সাগর প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ৬ মাস আগে রুমানাকে পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ভালোই যাচ্ছিল তাদের দিনকাল। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে স্বামী সাগর খন্দকার।
প্রতিবেশি সোনিয়া আক্তার জানান , আমরা হটাৎ ডাক চিৎকার শুনতে পাই, ডাক চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে দেখি সাগরের ঘর থেকে ২৫ ফুট দূরে একটি বাথরুমে আগুন জ্বলছে, সেখানে গিয়ে দেখি রুমানার গায়ে আগুন জ্বলছে, এরপর সবাই মিলে পানি ঢেলে আগুন নিভিয়ে ফেলি।তবে আমরা শুনেছি রুমানার গায়ে রান্না ঘর থেকে আগুন লেগেছে, কিন্তু কিভাবে সে বাথরুমে গিয়েছে তা আমরা বলতে পারছিনা। রান্না ঘরের পাশেই পুকুর ছিলো সেখানেও সে ঝাঁপ দিতে পারতো তাও সে দেয়নি।
তবে এলাকায় সাগরের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ, বাবুগঞ্জ থানার সূত্রে জানা যায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকসহ ছয়টি মামলা রয়েছে সাগর দীর্ঘদিন এ সকল মামলায় জেল খেটেছেন। তিনি এলাকায় মাদক সম্রাট নামে খ্যাত তিনি চিহ্নিত একজন মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।
নিহতের পিতা মোস্তফা হাওলাদার জানান , তার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তুষার কুমার মণ্ডল বলেন,আপনাদের মাধ্যমে ঘটনাটি শুনলাম, ঢাকায় ময়নাতদন্ত হচ্ছে, রিপোর্টের প্রেক্ষিতে হত্যার আলামত পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Like this:
Like Loading...