ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কুমিল্লায় এসে বাসা-বাড়ি, শপিং মলসহ বিভিন্ন এলাকায় চুরি-ছিনতাই করে আসছিল একটি চক্র। ওই চক্রের সাত নারী সদস্যকে আটক করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা।
পথচারী এক নারীর ব্যাগ থেকে চুরি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন নারী চোরচক্রের ওই সাত সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে তাদের কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিন দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, বুধবার (২১ জুন) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ এলাকায় জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক গৃহবধূকে একা পেয়ে তার সঙ্গে বিভিন্নভাবে কথা বলে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেন চোরচক্রের সদস্যরা। এক পর্যায়ে ব্যাগ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ভিকটিম চোর চোর বলে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার টহল পুলিশ বোরকা পরিহিত সাত নারীকে আটক করে।
আটক সাত নারী হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমণ্ডল গ্রামের পাখি আক্তার (২৫), ফাতেমা বেগম (৪০), শাহানা নাইমা (২৫), দিলারা বেগম (৩০), হনুফা (৪০), পারভীন আক্তার (২৫) ও ফাতেমা বেগম (২৪)। তাদের মধ্যে শাহানার নামে কুমিল্লার বরুড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানায় দুটি চুরির মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় চুরি করতেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, আসন্ন ঈদ মৌসুমকে টার্গেট করে গ্রেপ্তারকৃত মহিলা চোরচক্রের সদস্যরা কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন শপিং মল, মার্কেট ও জনবহুল এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে নানা কৌশল অবলম্বন করে চুরি-ছিনতাই করার জন্য এসেছিলেন।
পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই চক্রের বাকি সদস্যদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মংনেথোয়াই মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন, কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ, পরিদর্শক (তদন্ত) ত্রিনাথ সাহা তন্ময়সহ অন্য কর্মকর্তারা।