নিজিস্ব প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ২ নং ধরখার উনিয়নের বনগজ গ্রামের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল লতিফের ছেলে ভূমি দস্যু ,অবৈধ বালু উত্তেলনকারী ও এলাকার ত্রাস মোঃ রমজান মিয়া, তার ছোট ভাই সহিদ মিয়া ও শিরু মিয়া ও তার গংরা জোর করে জমি দখল করে নিয়েছেন একই পাড়ার ৭১ রণাঙ্গণের সাহসী সৈনিক, বীর মুক্তি যোদ্ধা মোঃ হাবিবুর রহমানের ফসলী জমি।
অসহায় এই মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবার গ্রামের বিচার না পেয়ে প্রশাসন কে অবহিত করলে আখাউড়া থানার ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির একটি পুলিশ টীম ওই জমি পরিদর্শন গেলে ঘটনার সত্যতা পাই।অবৈধ বালু উত্তেলনকারী ও এলাকার ত্রাস মোঃ রমজান মিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধার ৫ শতক জমি জোর করে দখল করে দীর্ঘদিন ধরে ভুগ করছে।
সে ও তার গংরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অঙ্গীকার করে যে খুব দ্রুত জমির দখল ছেড়ে দিবে ও খুটি তুলে নিবে। কিন্তু অনেকে দিন হয়ে গেলেও জমির খুটি তুলা তো দূরে থাক বরং মুক্তি যোদ্ধা মোঃ হাবিবুর রহমানকে ও তার ছোট ভাই আজিজুল হক ভূইয়াঁ ও মাউলা আলী ভূইয়াঁকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে ও জমি থেকে খুটি সরাবে না বলে প্রতিজ্ঞা করেছে।
অবশেষে কোনো উপায় না পেয়ে গত ০১-০৬-২০ তারিখে আখাউড়া টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক এম নাবির মারফত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আখাউড়া উপজিলার নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করলে আখাউড়া উপজিলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা মোটোফোনে ২ নং ধরখার উনিয়নের চেয়ারম্যান কাছে এই সম্যসা সমাধানের দায়িত্ব দেন।
২ নং ধরখার উনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বার কে দায়িত্ব দিলে সাত দিন চেষ্টার পর রমজান কে রাজি করান সমস্যা সমাধানের।
গত ০৭-০৬-২০ তারিখে ধরখার উনিয়নের মেম্বার জনাব হাবিবুর রহামন,সরকারি আমিনের মাধমে জায়গা মাপেন।জায়গা মেপে তারা অভিযুগের সত্যতা পাই। মেম্বার ও সরকারি আমিন রমজান কে বলেন মুক্তিযোদ্ধার ৫ শতক জায়গা দখল ছেড়ে দিতে।মীমাংসের এক পর্যায়ে রমজান ও তা গংরা পূব পরিকল্পনা অনুযায়ী হটাৎ সালিসীতে বিশৃঙ্কলা শুরু করে দেয় ।রমজান মিয়া, তার ছোট ভাই সহিদ মিয়া ও শিরু মিয়া তাদের পক্ষের লোক মোহাম্মদের ছেলে শাজানখান মিয়া ও সারাফাতের ছেলে লিয়াকত আলী সহ ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী মুক্তি যোদ্ধার ছোট ভাই আজিজুল হক ভূইয়াঁ ও মাউলা আলী ভূইয়াঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি গালাজ করে ও এক পর্যায়ে মুক্তি যোদ্ধারের ভাইদেরকে গলা ধাক্কা দিয়ে সালিসি থেকে বের করে দেন ও সালিসি লন্ড ভন্ড করে সালিসি ভেঙে দেয় । প্রশাসন কে গালি গালাজ করে সরকারি আমিন ,মেম্বার ও গ্রামের গন্য মান্য মানুষ কে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়।
আখাউড়া উপজিলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা নির্দেশ কে অমান্য করে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই দেশবিরোধী ,অত্যাচারী ,ভূমি দস্যু ,অবৈধ বালু উত্তেলনকারী ও এলাকার ত্রাস মোঃ রমজান মিয়া, তার ছোট ভাই সহিদ মিয়া শিরু মিয়া ও তাদের গংরা এখন গর্ব করে গ্রামে বুক ফুলিয়ে হাটছে ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশাসনের থেকে দুইবার পুলিশ ঘটনার স্থলে যান ও রমজান মিয়াকে জমি থেকে খুটি তুলে নিতে ও জমির দখল ছেড়ে দিতে বললে প্রশাসনের নির্দেশ কে কোনো কর্ণপাত করেন নি রমজান ও তার গংরা।
প্রশাসনের এই অসহায় আত্মসমর্তন দেখে গ্রামের সাধারণ জনঘন বলছে ,ভূমি দস্যু ,অবৈধ বালু উত্তেলনকারী ও এলাকার ত্রাস মোঃ রমজান মিয়া, তার ছোট ভাই সহিদ মিয়া, শিরু মিয়া ও তাদের গংদের বিচার করা কারো পক্ষে সম্ভব না।গ্রাম বাসি প্রশাসনের অসহায় আত্মসমর্তন খুব হতাশ।
Facebook Comments