ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত আহত শতাধিক। সোমবার রাত পৌনে ২ টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ও ঢাকাগামী চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা তুর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশের ওসি শ্যামলকান্তি দাশ জানান।
তুর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস মন্দবাগ স্টেশনের মূল লাইনে দাঁড়ানোর কথা। তুর্ণা ট্রেনটি স্টেশনে না দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক গতিতে চলতে থাকে। উদয়ন এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢোকার মুখে তুর্ণা এক্সপ্রেসে ধাক্কা দেয়। উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের দিক থেকে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর বগি তুর্ণা ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়।
বলেন, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই আট জনের মৃত্যু হয় জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, পরে বিভিন্ন হাসপাতালে আরো সাত জন মারা যায়। ভোর ছয়টার দিকে উদয়ন এক্সপ্রেস ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি কোচ ও এর পেছনের তিনটি কোচ রেখে দিয়ে ছয়টি কোচ নিয়ে সিলেটে রওনা দিয়েছে। তুর্না এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছেন।
আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে দুটি রিলিফ ট্রেন।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রেলওয়ে সচিব মোহাম্মদ মোফাজ্জল করিম, জেলা প্রশাসক হায়াৎ উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ও ৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
রেলওয়ে সচিব বলেন, ‘রেলওয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সকাল ৯টা নাগাদ বগিগুলো উদ্ধার শেষে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।’
Facebook Comments