শিরোনাম

বড়দের জ্বর বনাম শিশুদের জ্বর এবং কার ক্ষেত্রে কী কী করণীয়

সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে : রবিবার, জুলাই ২৮, ২০১৯ ৪:১৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ

বর্তমানে দেশে ডেঙ্গুর প্রভাব খুব বেশি। তবে ডেঙ্গু বা অন্য কোনো জ্বর হলেই যে চিকিৎসকের কাছে ছুটতে হবে বা ওষুধ খেয়ে কমাতে হবে, ব্যাপারটি তা নয়। বেশির ভাগ জ্বরই ভাইরাসজনিত, যাতে কোনো ওষুধ লাগে না। এমনিতেই পাঁচ থেকে সাত দিন পর সেরে যায়। আবার বড়দের জ্বর হলে এক রকমভাবে তা মোকাবেলা করতে হবে, ছোটদের ক্ষেত্রে করতে হবে একটু অন্য রকমভাবে।

দেশের খ্যাতনামা ডাক্তার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ’র (সাবেক ডিন, মেডিসিন অনুষদ, সাবেক চেয়ারম্যান, মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) কিছু টিপস এখানে তুলে ধরা হল:

বয়স্কদের ক্ষেত্রে

❏ জ্বর হওয়ার প্রথম তিন দিন শুধু সঠিক পরিমাণে প্যারাসিটামলজাতীয় ট্যাবলেট খান। জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামলের পরিবর্তে এনএস এইড বা ব্যথানাশক ওষুধ যেমন—আইবুপ্রোফেন, অ্যাসপিরিন বা কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

❏ একেবারে প্রথম থেকেই শরীরে যেন তরলের জোগান ঠিক থাকে সে জন্য তেষ্টা কম পেলেও পর্যাপ্ত পানি বা তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করুন।

❏ জ্বরের সময় বিশ্রাম নিলে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা কমে এবং রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তাই জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে বা জ্বর হওয়ার প্রথম দিন থেকেই পূর্ণ বিশ্রামে চলে যান। এই সময় কোনো ধরনের কায়িক পরিশ্রম করবেন না বা শরীরের ওপর কোনো চাপ দেবেন না।

❏ যাঁরা ডায়াবেটিস, হার্ট, কিডনি, লিভার বা অন্য জটিল অসুখে ভুগছেন বা আগেও কখনো ডেঙ্গু হয়েছে, তাঁরা খুব সাবধানে থাকুন।

❏ রাতে এসির ব্যবহার কমিয়ে দিন। ঘর ঠাণ্ডা হওয়ার পর এসি বন্ধ করে ঘুমাতে যান।

❏ দাঁতের মাড়ি, মল বা মূত্রের মধ্য দিয়ে রক্তপাত হলে খুব সাবধান হোন। রোগীর প্লাটিলেট কাউন্ট কমে গেলেই তেমনটা হয় সাধারণত।

❏ কারো ডেঙ্গু হলে মশারি ব্যবহার করে রোগীকে আলাদা রাখুন। এতে অন্যরাও রক্ষা পাবে।

❏ যদি মনে হয় পরিস্থিতি ক্রমেই নাগালের বাইরে যাচ্ছে, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন বা হাসপাতালের দ্বারস্থ হোন।

শিশুদের ক্ষেত্রে

❏ জ্বরের সময় পানিশূন্যতা প্রতিরোধে দুধ পান করে এমন শিশুদের ঘন ঘন মায়ের দুধ চুষতে দিন। এ সময় দুগ্ধবতী মাকেও সাবধানতার সঙ্গে চলাফেরা ও খাওয়াদাওয়া করতে হবে।

❏ হালকা গরম পানিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে গোসল করাতে পারেন।

❏ শিশুর ওজন ও ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী প্যারাসিটামল সিরাপ বা ট্যাবলেট খাওয়ান। ছোট শিশুকে সর্দি-কাশির সিরাপ, যাতে জ্বর কমানোর উপাদান আছে, তা সেবন করানো উচিত নয়। এতে জ্বরের ওষুধের ‘ওভার ডোজ’ হয়ে যেতে পারে।

❏ শিশুর ঘরের তাপমাত্রা আরামদায়ক (১৮ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রাখুন। জানালা খুলে রাখুন, যথেষ্ট বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন। প্রয়োজনে ফ্যান ছেড়ে দিন।

❏ অতিরিক্ত কাপড়চোপড়, কাঁথা বা চাদরের প্রয়োজন নেই। বিশেষত, মাথা ঢেকে রাখবেন না, কারণ ছোট্ট শিশুদের তাপ মাথা থেকেই বেশি নির্গত হয়।

❏ জ্বরের সময় খেলাধুলা বা অত্যধিক পরিশ্রম পরিহার করতে হবে। প্রয়োজনে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে কিছুদিন বিশ্রাম নিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ

তুরস্কে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের এক মিনিটের মধ্যে আটটি আফটার শক (পরাঘাত) আঘাত হানে
ভূমিকম্পের পর সিরিয়ার উত্তরপশ্চিম অঞ্চলকে দুর্যোগ অঞ্চল’ ঘোষণা করেছে বেসামরিক কর্তৃপক্ষ
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাপর পরও দেদারছে রাশিয়ার তেল কিনছে ভারত
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে হত্যা করবেন না বলেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিড...
পাঁচ কেজি ওজনের বালিশ মিষ্টির দাম ১ হাজার ৮০০ টাকা
ধর্ষনের অভিযোগে রনি হোসেন নামে এক যুবক বিদেশে পালানোর সময় গ্রেফতার
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ মোশাররফ মারা গেছেন
ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র যত বেশি অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করবে, রাশিয়া তত বেশি প্রতিশোধমূলক হামলা চালাব...
Spread the love
Facebook Comments

Contact Us