নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুলাভাই বেলাল হোসেনের(৩৫) বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে জলঢাকা থানায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এর পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছে বেলাল হোসেন।
এর আগে গত রবিবার (৯ জুলাই) রাতে উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের চিড়াভিজা গোলনা নবাবগঞ্জ এলাকায় শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত বেলাল। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ওই কিশোরী।
অভিযুক্ত বেলাল হোসেন উক্ত ইউনিয়নের চিড়াভিজা বড় জুম্মাপাড়া এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিকভাবে কয়েকদিন ধরে ভুক্তভোগী কিশোরীর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। সবাই রাজি থাকলেও বিয়েতে রাজি ছিলেন না কিশোরীর দুলাভাই বেলাল হোসেন। তার অমতে বিয়ের আলোচনা হওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। ঘটনার দিন পরিবারের লোকজনের অগোচরে কৌশলে ওই কিশোরীকে বাড়ির পেছনে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান বেলাল। পরে ব্যর্থ হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কিশোরীর গলা ও গাল কেটে দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
চিৎকার শুনে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোরীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা শাহানুর আলম বলেন, জ্ঞান ফেরার পর আমার মেয়ে বলে বড় জামাই আমার তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। জামাই এমন কাজ করবে এটা আমরা কেউ ভাবিনি। আজ আমার মেয়েকে হারাইতাম, আল্লাহ বাঁচাইছে। নরপিচাশটাকে যেন পুলিশ তাড়াতাড়ি ধরে জেলে ঢুকায়।
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বলেন, আমরা আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি। দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।