নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর একটি রিসোর্টে শনিবার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার সময় তাঁকে এক নারীসহ আটক করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। কিছু সময় পর কয়েক হাজার হেফাজতকর্মী ‘রয়েল’ নামের ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মাওলানা মামুনুলকে মুক্ত করে নিয়ে যান।
তাকে মুক্ত করে নিয়ে গেলেও শনিবার থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ইন্টারনেটে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু মামুনুল হক।
গত তিনদিন ধরেই এই ইস্যু দেশজুড়ে আলোচনার হট টপিক। প্রিন্ট-অনলাইন আর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় একের পর এক নিউজ হচ্ছে। আর মামুনুল অনুসারীদের রোষের কবলে পড়েছে অনলাইন মিডিয়াগুলো। যার প্রমাণ পাওয়া যায় প্রতিটি মিডিয়ার ফেসবুক পেইজে। মামুনুলের স্বরূপ উন্মোচিত হওয়া নিউজগুলোর কমেন্টবক্সে গালির ঝড় তুলেছেন তার সমর্থকেরা। মামুনুলের সমর্থকেরা সবসময় নিজেদের সেরা ধার্মিক বলেন; তবে নিশ্চয়ই গালাগালি করা ধার্মিকের কাজ নয়।
সোশ্যাল সাইটে মামুনুল অনুসারীদের প্রধান টার্গেট মিডিয়াগুলো। সাংবাদিকরা কেন মামুনুলের স্বরূপ উন্মোচন করছে- এটা তাদের প্রশ্ন। এছাড়া কোনো মুসলিমও যদি মামুনুল বা হেফাজতের সমালোচনা করছেন, তার ওপর হামলে পড়ছে মামুনুলের সমর্থকেরা। তাকে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সরকারবিরোধী হাজারো বক্তব্য ঘুরছে সোশ্যাল সাইটে। অনেকে জিহাদের ডাক দিচ্ছেন। কিন্তু কেউই তাদের নেতা মামুনুল হকের দোষ দেখছেন না। তাদের কাছে যুক্তি-বুদ্ধি-তথ্য-প্রমাণের কোনো মূল্য নেই। অন্ধের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে সোশ্যাল সাইট দূষণে।
Facebook Comments