বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ঘুমন্ত মা-বাবার কোল থেকে ১৭ দিনের শিশু চুরির ঘটনার তিন দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত শিশুর নাম সানজিদা আক্তার।
বুধবার ভোরে উপজেলার গাবতলা গ্রামে বাড়ির ভেতর পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে গত রোববার রাত ১১টার দিকে বাবা সুজন খান ও মা শান্তা আক্তারের সঙ্গে ঘুমিয়ে থাকা শিশুটি নিখোঁজ হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাগেরহাট পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়।
তিনি জানান, রোববার রাতে চুরি যাওয়া ওই শিশুটির দাদা মো. আলী হোসেন খান বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের নামে সোমবার রাতে মোরেলগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা করেন। অন্যদিকে একমাত্র নবজাতক সন্তানকে হারিয়ে এখন পাগলপ্রায় শিশুটির বাবা জেলে সুজন খান ও মা শান্তা আক্তার।
জানা যায়, গত রোববার রাত ১১টার দিকে সুজন খান ও মা শান্তা আক্তার মাঝখানে মেয়েকে বিছানায় শুইয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। দিবাগত রাত ২টার দিকে তারা জেগে দেখেন মেয়েটি বিছানায় নেই। তার বালিশটি খাটের নিচে পড়ে আছে। ঘরের দরজাগুলো খোলা।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধ ও পারিবারিক কলহের কারণে ১৭ দিনের শিশু সানজিদা চুরির পর তাকে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শিশুটির বাবা-মা।
স্থানীয়রা জানান, চুরি হওয়ার পর বাড়ির পুকুরে একাধিকবার জালসহ বিভিন্ন উপায়ে খোঁজা হয়েছিল নবজাতককে। তখন তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
ভোরে বাড়ির পুকুরে নবজাতকের মরদেহ ভাসতে দেখে পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
এদিকে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে বাগেরহাট হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোরেলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ঠাকুর দাশ মণ্ডল বুধবার সকালে সঙ্গীয় ফোস নিয়ে পুকুর থেকে নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। তবে এ ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Facebook Comments