হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মাসুক মিয়াকে হত্যাকাণ্ডের ৩৩ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ।
মসুক মিয়া জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশীকে ছুরিকাঘাতে খুন করে পালিয়েছিলেন ১৯৯০ সালে। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৩৩ বছর। হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাও হয়েছে তাঁর। সম্প্রতি বোনের মৃত্যুর পর কুলখানিতে অংশ নিতে বোরকা পড়ে বাড়ি এসেছিলেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে।
মাসুক মিয়া সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের করগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালের এপ্রিলে করগাঁও গ্রামের আবদুস সালাম নামে এক ব্যক্তি পুরকায়স্থ বাজার থেকে গ্রামে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৩ এপ্রিল মামলা করেন নিহত ব্যক্তির এক স্বজন। মামলার আসামি করা হয় মাসুককে। ঘটনার পর তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যান। এর মধ্যে হত্যা মামলায় ১৯৯২ সালে মাসুকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি বোনের কুলখানিতে অংশ নিতে মাসুক ভারত থেকে নিজ এলাকায় আসেন। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে বোরকা পরে এলাকায় গিয়েছিলেন। পলাতক আসামি এলাকায় ফিরেছেন‒ এমন তথ্যের ভিত্তিতে মাসুকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, মাসুক আগেও একাধিকার বোরকা পরে এলাকায় যাতায়াত করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। তবে এবার তিনি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি। বোনের কুলখানিতে অংশ নিতেই তিনি দেশে এসেছিলেন তিনি। পলাতক অবস্থায় ভারত এবং আগে সৌদি আরবে নিজের অবস্থানের কথা জানান মাসুক। বিয়ে করেছেন আসামে। তবে নিঃসন্তান হওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে বলে জানান মাসুক।