বিদ্রোহীদের জোট আরো দাবি করেছে, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছোট-বড় ক্যাম্পের সেনারা বিদ্রোহীদের কাছে খুব দ্রুতই আত্মসমর্পণ করবে। যেসব ক্যাম্পের সেনারা এখনো আত্মসমর্পণ করেনি তাদের বিরুদ্ধে আরাকান আর্মির (এএ) যোদ্ধারা হামলা অব্যাহত রেখেছে। ।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তারা আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের অগ্রসরতা ঠেকাতে পথে পথে বাধার সৃষ্টি করছে। এমনকি বেশ কয়েকটি ব্রিজও ইতিমধ্যে ধ্বংস করে দিয়েছে তারা।
জান্তা বাহিনী বর্তমানে যেভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করছে তাতে বোঝা যাচ্ছে তারা যুদ্ধে হারের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করেছে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মাইন হামলার মাধ্যমে তাংগুপ শহরের কাছে অবস্থিত মা ই সেতু ধ্বংস করে দেয় জান্তা বাহিনী। পরের দিন আরো দুটি সেতু উড়িয়ে দেয় তারা।
মা ই সেতু ধ্বংস করতে যে মাইন ব্যবহার করা হয় সেটি বিস্ফোরিত হয়ে স্থানীয় একটি স্কুলসহ আরও কয়েকটি ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি সেনারা রাখাইনের রাজধানী সিত্তেতে প্রবেশের মিন চং (আকা) আহ মিয়ান্ত কায়ুন সেতু ধ্বংস করে দেয়। যা সিত্তে-ইয়াঙ্গুন মহাসড়কের কাছে অবস্থিত।
তবে নিজেদের রক্ষায় জান্তা বাহিনী যেসব সেতু ধ্বংস করেছে সেগুলো সাধারণ মানুষ এবং পণ্য পরিবহনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে জানিয়েছে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স।
গত বছরের অক্টোবরে আরাকান আর্মিসহ ৩টি বিদ্রোহী গোষ্ঠী জোট গঠন করে। এরপর জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত হামলা চালানো শুরু করে তারা।
হামলায় টিকতে না পেরে অনেক স্থান ছেড়েই পালিয়েছে জান্তা বাহিনী।খবর বিবিসির।