আব্দুর রাজ্জাক সিনিয়র রিপোর্টার:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর ১ নং ওয়ার্ড পুর্বলাচ গ্রামের পৌর মহাশশ্মানে গত (৩০ জানোয়ারি ২০২৪) সে অজ্ঞাতনামা দূর্বৃত্তরা হামলা করে প্রতিমাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ জানান, এজাহার ও ঘটনা সুত্রে জানা যায়, পৌর মহাশশ্মানের কেয়ারটেকার হরেন্দ্র চন্দ্র কুরী গত(২৯ জানোয়ারি ২০২৪) রাত অনুমান ৮.০০ মিনিট সময়ে শশ্মানের কাজ শেষে শশ্মানের প্রবেশ গেটে তালা দিয়ে তাহার নিজ বাড়িতে চলে যান। পরবর্তীতে (৩০ জানোয়ারি ২০২৪) দুপুর অনুমান ১২.৩০ মিনিট সময়ে কেয়ারটেকার শশ্মানে আসে গেটের তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন মন্দিরের সামনে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর এবং প্রতিমা ভাংচুর সহ আগুনে পোড়া দেখিয়া, বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে মোবাইল ফোনে শশ্মান কমিটির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায় (৬০) কে জানালে তিনি স্থানীয় লোকজনদের সাথে নিয়ে শশ্মানে আসে দেখে শশ্মানে থাকা কালিমন্দিরের অফিস কক্ষের আলমারি, চেয়ার টেবিলসহ যাবতীয় আসবাবপত্র ভাংচুর অবস্থায় পরে আছে এবং মন্দিরে থাকা প্রতিমাটি মন্দির থেকে বাহিরে ফেলিয়া ভাংচুর সহ আগুনে পোড়া অবস্থায় দেখতে পান। এছাড়াও মন্দিরের অফিসে থাকা বিভিন্ন কাগজপত্র বাহিরে নিয়া আগুনে পোড়ানো হয় এবং মন্দিরের দেবতাদের ছবি ও নেমপ্লেট ভাংচুর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। শশ্মানে থাকা আম গাছ, কাঁঠাল গাছ সহ বিভিন্ন জাতের ১০-১৫টি ফলজ গাছ কাটা অবস্থায় পড়ে আছে। মন্দিরের ছাদের উপর পানির ট্যাংক আগুনে পোড়া অবস্থায় আছে। উক্ত আলামত দেখতে পান।
পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় সহ অফিসার ইনচার্জ (ওসি)রায়পুর থানাকে বিষয়টি জানালে তাহারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ উল্লেখিত ঘটনার সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান।
প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে শশ্মানের বাউন্ডারী দেয়াল টপকাইয়া বা অন্য কোন ভাবে শশ্মানের ভিতরে অনধিকার প্রবেশ করে মন্দিরের বিভিন্ন আসবাবপত্র, প্রতিমা, ধর্মীয় দেবতাদের ছবি ও নেমপ্লেট ভাংচুর করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এবং ধর্মীয় উপসানালয়ের স্থান বিনষ্ট সহ জরুরী কাগজপত্র, মন্দিরের ছাদে থাকা পানির ট্যাংক আগুন দিয়ে পোড়ায় এবং গাছপালা কেটে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে দূর্বৃত্তরা।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে শশ্মানের সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায় বাদী হয়ে (৩০ জানোয়ারি ২০২৪)সে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং ২৫/২৫।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি উক্ত ঘটনার বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন মামলা নেওয়া হয়েছে এবং অপরাধীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং অনতিবিলম্বে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন।