লক্ষ্মীপুরে কিস্তির টাকা চাইতে গেলে এক এনজিও কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম মো. ইউনুছ (৫০)। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত জাবেদ হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ইউনুস লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড আবদুল গনি হেডমাস্টার সড়কের আবদুর রশিদ মোল্লার ছেলে। তিনি গ্রামীণ মাল্টিপারপাসের মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
৬ দিন পর বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের দক্ষিণ মজুপুরের কালু হাজি সড়ক এলাকা থেকে মাটিচাপা অবস্থায় পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আটক জাবেদ কালু হাজি সড়কের সফিকুর রহমানের ছেলে ও চা দোকানি। তবে তিনি পেশায় নির্মাণ শ্রমিক হিসেবেও কাজ করেন।
নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, জাবেদ সম্প্রতি ইউনুছের এনজিও থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন। এতে প্রতিদিন ২৫০ টাকা করে জমা দিতে হয়। কিন্তু তিনি কিস্তির টাকা দিচ্ছিলো না। ২৪ আগস্ট বিকেলে মোটরসাইকেলে করে ইউনুস বাসা থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেনি। স্বামীর খোঁজে ২৫ আগস্ট স্ত্রী সুলতানা জামান সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেন। পুলিশ তদন্তের পর অভিযান চালিয়ে বুধবার (৩০ আগস্ট) রাতে জাবেদকে তার এলাকা থেকে আটক করে। পরে সে পুলিশের কাছে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
জাবেদ পুলিশকে জানান, ২৪ আগস্ট রাতে ইউনুস দোকানে তার কাছে কিস্তির টাকা চাইতে যায়। কিন্তু তিনি টাকা দিচ্ছিলো না। এতে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায় তিনি লাঠি দিয়ে ইউনুসের মাথায় আঘাত করে। এতেই ইউনুস মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে জাবেদ নিজের দোকানের পেছনে নিয়ে ইউনুসের মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখে। পরে ইউনুসের ব্যবহৃত মোবাইল ও মোটরসাইকেলটি পাশের পুকুরে ফেলে দেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত জাবেদকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মাটিতে পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।