মাদক ব্যবসায় সহযোগী হিসেবে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সুমন মিয়া (২৪) নামের এক যুবককে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে বিবস্ত্র করে যুবক সুমনকে রড দিয়ে বেধড়ক পেটাতে দেখা যায়।
গত ২৫ জুলাই (গত মঙ্গলবার) রাত ১১টার দিকে উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের লতাবর গ্রামে অভিযুক্ত মিলনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার যুবক সুমন মিয়া উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের লতাবর এলাকার এন্তাজ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে শনিবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে মিলন মিয়া ও তার তিন সহযোগী লিমন, রবিউল ও মিস্টার মাদক বহনের কাজে সহযোগিতা করতে সুমন মিয়াকে প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি না হলে গত ২৫ জুলাই রাতে মিলন ও তার সহযোগীরা তাকে লতাবর গ্রামের মোন্দাদিঘির পাড় থেকে তুলে নিয়ে যান। পরে একই এলাকার মৃত জমসের ছেলে মিলনের বাড়িতে নিয়ে বিবস্ত্র করে তাকে নির্যাতন চালানো হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, মিলন ও তার সহযোগীরা সুমনকে বিবস্ত্র করে রড় দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। নির্যাতনের সম্পূর্ণ ভিডিও ধারণা করা হয়। এ বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেন তারা।
এ বিষয়ে সুমন মিয়া বলেন, ‘মিলন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তিনি মাদক বহনে আমাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তাব দেন। রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে এভাবে নির্যাতন করেন। এছাড়া মিলন ও তার সহযোগীরা ভারতীয় মোটরসাইকেল চুরি করাসহ নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মিলনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এর আগে, তিনি সাংবাদিকদের নিজেকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের ভুয়া পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘সে (সুমন) আমার আপন চাচাতো ভাই। আমি তাকে শাসন করেছি।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ করিব নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।