ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সালথায় গুজব ছড়িয়ে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ও দপ্তরে হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছে।
মঙ্গলবার (৬ই এপ্রিল) সন্ধায় এস আই মিজানুর রহমান বাদি হয়ে সালথা থানায় মামলাটি করা করেন। মামলায় ৮৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ হাজার জনকে আসামি করা হয়। এলাকায় পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের টহল বাড়ানো হয়েছে।
সালথা থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গুজবে হামলা চালানোর ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে, যার মামলা নং ৩ তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২১ইং।
মামলার সুত্র ধরে তান্ডব চালিয়ে নাশকতার ঘটনায় এজাহার নামীয় গোপালিয়ার নুরু শেখ (১৮), মিনাজদিয়ার সজিব গাজী (১৯), ইউসুফদিয়ার রাবিন মাতুব্বর(১৯), ফুকরার আবুল কালাম শেখ (৩৪), মোঃ রিপন শেখ (৩৪), মোঃ ইলিয়াস মোল্যা (২৭), চিলারকামদিয়ার মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩২), পিসনাইলের মোঃ রুবেল হোসেন ফকির (২৫), মিনাজদিয়ার মোঃ ইয়াকুব মাতুব্বর (৩৫), সোনাপুরের রাকিবুল ইসলাম (১৮), বিনোকদিয়ার মোঃ ইসলাম (১৮), গোপালিয়ার আমির মোল্যা (৩০), দরজা পুরুরার মিরান মোল্যা (৩০) কে আটক করে। আটককৃতদের ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
এই ঘটনায় জড়িতদের আটকের জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা এসময় এই প্রতিবেদক কে এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, যুবককে সরকারি কর্মচারীর লাঠিপেটার ঘটনা নিয়ে পুলিশের গুলিতে কয়েকজনের মৃত্যু এবং জনৈক মাওলানাকে গ্রেপ্তারের গুজব ছড়িয়ে সোমবার রাতে তাণ্ডব চালানো হয় ফরিদপুরের সালথা উপজেলায়।
হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, এজাহার নামিও ৩ জনসহ মোট ১২ জনকে পুলিশ আটক করেছে, আটককৃতদের ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে, অন্যান্য আসামীদের আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্যেখ্য, গত সোমবার ৫ই এপ্রিল সোমবার ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় লকডাউন কার্যকর করা না করা নিয়ে স্থানীয় উত্তেজিত জনতার মাঝে গুজব ছড়িয়ে প্রায় চার ঘন্টা ব্যাপী তান্ডব ও ধ্বংশলীলা চালায়, তান্ডবলীলা শেষে বর্তামানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনার সময় উপজেলা পরিষদ ও থানা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। উত্তেজিত জনতা উপজেলা পরিষদ ভবন, উপজেলা ভূমি অফিস, উপজেলায় পরিষদ চত্তরে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুড়াল, গাছপালা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি, সহকারী কমিশনারের গাড়ি, মোটরসাইকেল, উপজেলার সামনে অবস্থিত পেট্রোল পাম্প, সালথা থানা ও কর্মকর্তাদের বাসভবনসহ বেশ কিছু স্থাপনা ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।
এই ঘটনায় জুবোয়ের নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়।
Facebook Comments