যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নির্যাতনের শিকার হয়ে এক গৃহবধূ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে মৃত্যুর পর গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ মৌসুমী খাতুন (২৫) উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরাম গ্রামের মনছুর আলীর মেয়ে।
পান্ডুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী জানান, পাঁচ মাস আগে রিংকির বিয়ে হয় উলিপুরের মাঝবিল এলাকায়। স্বামী চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে কর্মরত। রিংকি চার দিন আগে বাবার বাড়িতে আসেন। শনিবার রাতে বাড়িতে তার দাদি, দাদা, ভাই ও তিনিও ছিলেন। অন্যান্য দিন মেয়েটির সঙ্গে তার মা একই ঘরে ঘুমালেও শনিবার রাতে তার মা বাবার বাড়িতে (রিংকির নানা বাড়িতে) না থাকায় তিনি একাই একটি ঘরে ছিলেন। সকালে ডাকাডাকি করে তার সাড়া না পাওয়া গেলে অন্য একটি দরজা দিয়ে ঢুকে মেয়েটির গলাকাটা লাশ দেখেতে পায় তার ছোট ভাই। এরপর চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন আসতে থাকেন। মধ্যরাতে কে বা কারা তাকে গলা কেটে হত্যা করেছে। গলায় একাধিক ছুরির আঘাত রয়েছে।
এ বিষয়ে উলিপুর থানার ওসি গোলাম মর্তুজা বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।