1. admin@sonarbangla365.com : newsbangla2023 :
সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ফরিদপুরে একই পরিবারের দুই সন্তানসহ বাবা নিহত - Sonar Bangla365
বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
আপডেট নিউজ

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ফরিদপুরে একই পরিবারের দুই সন্তানসহ বাবা নিহত

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৪০ Time View
সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ফরিদপুরে একই পরিবারের দুই সন্তানসহ বাবা নিহত
সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ফরিদপুরে একই পরিবারের দুই সন্তানসহ বাবা নিহত

সৌদি আরবের দাম্মামে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের একটি পরিবারের দুই সন্তানসহ বাবা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তার স্ত্রী ও আরেক সন্তান। তারা স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন মোবারক হোসেন (৪৮), তার ছেলে তানজিল আব্দুল্লাহ (১৭) ও মেয়ে মাহিয়া মাহি (১৪)।

আহতরা হলেন মোবারক হোসেনের স্ত্রী শিখা আক্তার (৪০) ও বড় মেয়ে মিথিলা ফারজানা মীম (১৯)।

এ ঘটনায় নিহত মোবারক হোসেনের বাড়ি ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ চরকমলাপুরের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তার বৃদ্ধা মা অসুস্থ আলেয়া বেগম এ খবর জানার পর থেকেই বাকরুদ্ধ।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) মোবারক হোসেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ওমরাহ পালনের জন্য পবিত্র মক্কার উদ্দেশ্য রওনা হন। ওমরাহ পালন শেষে শনিবার (৫ আগস্ট) সৌদি আরব সময় সকাল ১০টার দিকে তারা দাম্মাম শহরের নিজ বাসায় ফিরছিলেন। পথে আল-কাসিম নামক স্থানে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি গাড়ি তাদের সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তাদের গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং পাঁচজন গুরুতর আহত হন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দু’জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিহত সৌদি প্রবাসী মোবারক হোসেন ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার হাজীগঞ্জের গাজিরটেক গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আলী ওরফে মোহন শেখের বড় ছেলে। তার পাঁচ ভাই আর তিন বোনের মধ্যে চার ভাই সৌদি প্রবাসী।

মোবারক হোসেন প্রায় দুই যুগ ধরে পরিবার নিয়ে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে তার একটি কার রিপেয়ার শপ (গাড়ি মেরামতের দোকান) রয়েছে। প্রায় ৩০ বছর সৌদি আরবে বসবাস তাদের। চার মাস আগেও পরিবার নিয়ে দেশে বেড়াতে এসেছিলেন।

দুর্ঘটনার পর তাদের মৃত্যুর খবর পেয়ে এদেশে অবস্থান করা তাদের স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপর থেকেই ওই পরিবারে চলছে শোকের মাতম। তাদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে আশেপাশের পরিবেশ। বাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া।

নদী ভাঙ্গনে ভিটে মাটি হারিয়ে চরভদ্রাসনের গ্রামের বাড়ি ছেড়ে এখন বসবাস করছেন ফরিদপুর শহরের চর কমলাপুরে।

নিহতের বাবা শেখ মোহম্মদ আলী ওরফে মোহন শেখ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বড় নাতনি মিম কানাডা যাওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করেছিল। এর আগে তারা পরিবার নিয়ে ওমরাহ করতে যায়।

তিনি বলেন, আমার ছেলে আর দুই নাতির জীবন শেষ হয়ে গেছে এই দুর্ঘটনায়। আমি আর কী বলব। একথা বলে অনেকটা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। জানান, ফোরম্যানের চাকরি নিয়ে মোবারক হোসেন সৌদি আরবে যান। পরে সেখানে গাড়ির গ্যারেজ খুলেন।

নিহতের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বুধবার রাতে বড় ভাই মোবারক হোসেন তাদের ফোন করে জানান যে তারা পরদিন ওমরাহ করতে যাবেন। তার ভাইয়ের বড় মেয়ের কানাডা যাওয়ার কথা ছিল আর বাচ্চাদেরও পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় স্বপরিবারে ওমরায় যাচ্ছেন বলে জানান। এটিই ছিল তাদের সাথে শেষ কথা। এর দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পর তারা জানতে পারেন গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। তবে তারা মারা গেছেন- একথা প্রথমেই জানতে পারেননি।

তিনি জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে দেশ থেকে নিহতের শ্যালক গেছেন সৌদি আরবে। এছাড়া প্রবাসে থাকা দুই ভাই আহত ও নিহতদের কাছে রয়েছেন।

তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে সরকারের কাছে অনুরোধ করেন, এই রেমিটেন্স যোদ্ধার লাশটি যেন দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Copyright © 2017-2023 SonarBangla365
Theme Customized BY LatestNews
%d bloggers like this: