লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মো. সুমন নামে এক যুবক তার স্ত্রী রাশেদা আক্তার (২২) ও শ্বশুর বাদশা মিয়াকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় শাশুড়ি আঙ্কুরী বেগমকে (৪৫) কুপিয়ে আহত করা হয়। এরপর থেকে সুমন পলাতক রয়েছেন। উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরকলাকোপা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাদশা মিয়া গ্রামের মৃত তোবারক আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের বাসিন্দা সুমনের সঙ্গে রাশেদার বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সুমন তাকে মারধর করতেন। এতে কৌশলে রাশেদাকে তার বাবা-মা নিয়ে আসে। পরে তাকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়। এরপরও বুধবার সন্ধ্যায় সুমন তার স্ত্রীকে নিতে আসে। এ সময় স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনাটি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এসব নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী রাশেদা, শ্বশুর বাদশা ও শাশুড়ি আঙ্কুরিকে কুপিয়ে সুমন পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলেই রাশেদা ও তার বাবা বাদশা মারা যান। আহত অবস্থা আঙ্কুরিকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রামগতি থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এসেছি। লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।