দণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুরা গ্রামের আজাহার মোল্লার ছেলে। তিনি মাদারীপুর পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার জোতকুরা গ্রামের আজাহার মোল্লার ছেলে জসিম মোল্যা, ছয়জুদ্দিন মোল্লার ছেলে আজাহার মোল্লা ও সদর উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের শহীদ মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে বাদী সাইমা আক্তার সীমার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে চাকরির কথা বলে তিন লাখ টাকা নেন জুয়েল মোল্লা। পরে ওই বছরই পুলিশে চাকরি হওয়ার পর ট্রেনিংয়ে যাওয়ার আগে সীমাকে শরিয়ামূলে বিয়ে করেন তিনি। পরের বছর বাদী ওই পুলিশ সদস্যকে কাবিনের জন্য চাপ দিলে বাদীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বাদী যৌতুক দিতে রাজি না হলে ওই পুলিশ সদস্য বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৬ জুলাই বাদী গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করেন। ২০২০ সালে সীমাকে মামলার ভয় দেখিয়ে এবং ঘরে তোলার প্রলোভনে তাঁর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাশিয়ানী থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ত শেষে আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মামলার বাদী সাইমা আক্তার সীমা বলেন, ‘আমি এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক খান খোকন বলেন, ওই পুলিশ সদস্য প্রতারণা করেছেন। সাজা কম হলেও রায়টি দৃষ্টান্ত হয়েছে।