বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় স্মার্টফোন কিনে না দেওয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে তাহমিনা আক্তার স্মৃতি নামের এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের পাংশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নিহত স্মৃতি পাংশা গ্রামের ইউসুফ হাওলাদারের মেয়ে এবং পাংশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাবা সঙ্গে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি পরিবারের।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, অনলাইন ক্লাসের কথা বলে স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার জন্য বাবার কাছে আবদার জানায় স্মৃতি। কিন্তু স্মার্টফোন কিনে না দেওয়ায় বাবার উপর অভিমান করে সে। পরে মঙ্গলবার রাতে নিজ কক্ষের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় স্মৃতি। সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্বজনরা। পরে থানায় খবর দেওয়া হয়।
ইউসুফ হাওলাদার বলেন, ‘আমি গরীব মানুষ। ছোট্ট একটা চায়ের দোকানের আয়ে সংসার চলে। মেয়ের প্রাইভেট মাস্টারকে ৩ মাসের বেতন দিতে পারিনি বলে পড়ানো বন্ধ করে দিয়েছেন। তাহলে স্মার্টফোন কিনে দেব কীভাবে? ফোন কিনে দিতে না পারায় মেয়ে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।’
এয়ারপোর্ট থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।