হিজড়াদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন, মাসিক ভাতা ও নাগরিক সুবিধা দেয়ার দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান আজ বুধবার (৫ জুলাই) জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, হিজড়ারা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন, সমাজ থেকে অবহেলিত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈষম্যের শিকার। জন্মের পর থেকে হিজরা হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর তারা পরিবার থেকেই বঞ্চনার শিকার হন এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। শারীরিক পার্থক্যের কারণে তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে পারে না। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় বঞ্চনার কারণে তারা স্বাভাবিক কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারে না।
ফলে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বঞ্চিত হয়ে, সমাজ থেকে অবহেলিত হয়ে, কর্মজীবনে যথাযথ সুবিধা না পেয়ে এবং সর্বোপরি রাষ্ট্র কর্তৃক বৈষম্যের শিকার হিজড়া জনগোষ্ঠী।
আইনি নোটিশে বলা হয়েছে যে, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকার ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের সব নাগরিক আইনের চোখে সমান এবং সংবিধানের মৌলিক অধিকার ২৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নাগরিকদের মধ্যে কোনো ধরনের বৈষম্য করা যাবে না। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের কাছ থেকে সমান সুযোগ-সুবিধা লাভের অধিকারী আছে হিজড়া জনগোষ্ঠীর।
হিজড়াদের অধিকার সংরক্ষণে কিছু দাবি তুলে ধরে নোটিশে বলা হয়, হিজড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে দেশের প্রতিটি হিজড়াকে মাসিক ভাতা দিতে হবে, হিজড়াদের জন্য পৃথক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। এছাড়া হিজড়াদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কর্ম-সংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী হিজড়াদের জন্য সব ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হিজড়া জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে এবং হিজড়াদের কল্যাণে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।