নভেম্বর মাসে অভিযান চালিয়ে ১৩৪ কোটি ৩৭ লাখ ১৩ হাজার টাকার চোরাচালান পণ্য ও মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয় এসব চোরাচালান পণ্য। আজ শুক্রবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জব্দকৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৫৫ কেজি ৫৪৬ গ্রাম স্বর্ণ, ৭ কেজি রূপা, ২ লাখ ১২ হাজার ৫৬৩টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১০ হাজার ৪৯৪টি ইমিটেশন গহনা, ১৭ হাজার ৪২৪টি শাড়ি, ৬ হাজার ১১টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ১ হাজার ৬৩১টি তৈরি পোষাক, ২ হাজার ৯৮৯ ঘনফুট কাঠ, ৬ হাজার ৮০ কেজি চা পাতা, ৭৮ হাজার ৫৩৩ কেজি কয়লা, ৫৪ কেজি ৫০০ গ্রাম কচ্ছপের হাড়, ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ২টি ট্রাক/কাভার্ডভ্যান, ৩টি মাইক্রোবাস/চাঁদের গাড়ি, ৫টি পিকআপ, ২৪টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৬৮টি মোটরসাইকেল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৫ লাখ ২১ হাজার ৯৮৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ কেজি ১৬২ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৪ কেজি হেরোইন, ১২ হাজার ৫৭৬ বোতল ফেনসিডিল, ১৮ হাজার ৯১০ বোতল বিদেশি মদ, ১ হাজার ৩১৫ ক্যান বিয়ার, ২১৪ লিটার বাংলা মদ, ১ হাজার ৮৮১ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৪ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ২৩ হাজার ৯৭৪টি নেশা জাতীয় ইনজেকশন, ৮ হাজার ৫৯২টি ইস্কাফ সিরাপ, ১ হাজার ৬১৮ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ২ লাখ ৯১ হাজার ৬৭৬ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, ৪২ হাজার ১০০টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৭৩টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
এ ছাড়াও উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৭টি পিস্তল, ৮টি গান, ৮টি ককটেল, ২৪টি মর্টাল শেল, ১টি ম্যাগাজিন এবং ৫৬ রাউন্ড গুলি। এছাড়াও সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২১৬ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১০৪ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ৬ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিজিবি।
Facebook Comments