এ পর্যন্ত ১৮টি কুকুরকে বন্ধ্যাকরণ ও জলাতঙ্ক রোগের টিকা দেওয়া হয়েছে। পুরুষ কুকুরের বন্ধ্যাকরণে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। অন্যদিকে মাদি কুকুরকে বন্ধ্যাকরণে সময় এক ঘণ্টা বেশি লাগে। বন্ধ্যাকরণ শেষে কুকুরগুলোকে সার্জারি পরবর্তী চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
এই সময় কুকুরগুলোকে দিনে তিন বেলা খাবার খেতে দেওয়া হয়। একটু সুস্থ হয়ে উঠলেই দেওয়া হয় জলাতঙ্ক রোগের টিকা। পুরুষ কুকুরকে পাঁচ দিন এবং মাদি কুকুরকে সাত দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। পঞ্চগড় থেকে আনা দুজন দক্ষ ব্যক্তি কুকুরগুলোকে ধরার কাজ করছেন।
জানতে চাইলে প্রকল্প দলের প্রধান মোহাম্মদ রাশেদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আগে বছরের একটা সময়ে পথকুকুরগুলোকে ধরে মেরে ফেলা হতো। কিন্তু এভাবে হত্যা করা সমাধান নয়। প্রাণিকল্যাণ আইন অনুযায়ী এভাবে হত্যায় জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। তাই হত্যা না করে কুকুর নিয়ন্ত্রণ ও জলাতঙ্ক রোগের টিকা দেওয়াই একমাত্র সমাধান।
প্রাথমিকভাবে সিভাসু ক্যাম্পাসে বাস করা কুকুরগুলোকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান রাশেদুল আলম। তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ক্যাম্পাসের সব কুকুরের বন্ধ্যাকরণ সম্পন্ন করা হবে। সিটি করপোরেশন উদ্যোগ নিলে পুরো নগরের পথকুকুরগুলোকে নিউটারিং অ্যান্ড ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের আওতায় আনতে পারব।
Facebook Comments