নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় পুলিশের গুলিতে হৃদয় ভূঁইয়া (২৩) নামের একজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. হৃদয় দুধঘাটা গ্রামের আমির ভূঁইয়ার ছেলে ও আহত মো. ফারুক একই গ্রামের কামাল ভূঁইয়ার ছেলে।
এলাকাবাসীরা জানান, প্রায় ৬-৭ মাস আগে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মারা গেলে, পদটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কর্মকর্তা। পরে শনিবার (৯ মার্চ) উপ-নির্বাচনে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী আব্দুল আজিজ সরকার (মোরগ প্রতীক) ও পরাজিত প্রার্থী মো. কায়সার আহম্মেদ রাজু (তালা প্রতীক) ভোটে নির্বাচন করেন। ভোট শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে গণনা শেষ হয়। এ সময় ভোট কেন্দ্র থেকে বের হয়ে পরাজিত প্রার্থী মো. কায়সার আহম্মেদ রাজু লোকজন ও তার সমর্থকেরা প্রথমে বিজয়ী প্রার্থী আজিজের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে করে উভয় দলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ শুরু হয়।
পুলিশের পাহারায় প্রিজাইডিং অফিসার ও নির্বাচন কর্মকর্তারা ব্যালট বক্স গাড়িতে তুলে উপজেলা কার্যালয়ে ফিরে আসার সময় পরাজিত প্রার্থীর লোকজন তাদের ওপর দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইট পাটকেল ছুঁড়ে গাড়ি ভাংচুর করে ব্যালট বক্স ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাদের জানমাল রক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে হৃদয় নিহত ও মো. ফারুক মারাত্মকভাবে আহত হয়।
এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় অফিসার ইনচার্জ এসএম কামরুজ্জামান, পরিদর্শক অপারেশন ও সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক পঙ্কজ কান্তি সরকারকে কয়েক দফা ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেননি।