কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটার সু-বিশাল সমুদ্র এবং একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত উপভোগ করা দেখার জন্য ছুটে আসছে দেশের বিভিন্ন এলাকায় থেকে। সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের লীলাভূমি কুয়াকাটা এখন পর্যটকদের কাছে দিনে দিনে প্রিয় হয়ে উঠছে। প্রকৃতির ছোয়া পেতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি সাগরকন্যা দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন বিদেশী পর্যটকদের আনাগোনাও বাড়ছে প্রচুর। আসন্ন রমজানের বন্ধ, চলতি এসএসসি পরীক্ষা, স্কুল-কলেজের বাৎসরিক কর্যক্রম ও শিক্ষা সফরে হাজারো পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত কুয়াকাটা। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানায়, এ বছরের সবচেয়ে বেশি পর্যটক হয়েছে ছুটির দিনে। রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমনে অনেকটা উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা।এদিকে আগতদের সার্বিক নিরাপত্তায় মাঠে ট্যুরিষ্ট পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘ সৈকতে লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি, পাখির কলকাকলি। সৈকতে বিছানো সারি সারি ঝিনুক, লাল কাকড়ার অবাধ বিচরণে ফুটে উঠেছে আল্পনা। এসব দৃশ্য উপভোগ করতে কুয়াকাটায় ইতিমধ্যে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক উপস্থিত হয়েছে। সকাল থেকেই পর্যটকবাহী গাড়ি কানায় কানায় পূর্ণ কুয়াকাটার পর্যটক পার্কিংগুলো। কুয়াকাটায় পর্যটকের এ ঢল রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন পর্যটক শূন্য ছিলো পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। দীর্ঘ ৩২ কিলোমিটার সৈকত রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। হালকা হিমেল বাতাসে আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে আনন্দ উম্মাদনায় মেতেছেন। সকাল বেলার শীতের রেস কাটতে না কাটতেই সৈকতের পানিতে গোসল ও উল্লাসে মেতেছে হাজারো পর্যটক।
হোটেল-মোটেল অনার এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ জানান, বৃহস্পতিবারই আমাদের শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। এখন আর পর্যটকদের কাঙ্খিত রুম দেওয়ার সুযোগ নেই।
ঢাকা থেকে আগত রফিকুল রব্বানী জানায়, স্বল্প সময়ের মধ্যে কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। এখনকার পরিবেশ বেশ ভালোই লাগছে। তবে সৈকতটিব পরিবেশ আরো অনেক সুন্দর হওয়া দরকার বলে মনে করছি।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ কুয়াকাটা টোয়াকের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, দীর্ঘদিন পর এতো বেশি পর্যটক দেখে ব্যবসায়ীরা অনেক উচ্ছ্বসিত। এভাবে প্রতিনিয়ত সৈকতে পর্যটক থাকলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অতীতের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে। ইতিমধ্যেই কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল রিসোর্টগুলো শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের কর্মকর্তা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমাদের কঠোর নজরদারি ও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্পটসহ পুরো সৈকত জুড়ে রয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত। কুয়াকাটায় দিন দিন পর্যটকের আগমন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কারণে পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ব্যাপক কাজ করছে।